জলবায়ু ঝুঁকিতে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
 
নিউজ ডেস্ক
জলবায়ু ঝুঁকিতে শীর্ষে থেকেও নিয়মিত ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেনা বাংলাদেশ। প্রতিবছর প্রাকৃতিক ঝুঁকি মোকাবেলায় দেশের প্রয়োজন প্রায় ১৬ হাজার ৬শ কোটি টাকা। কিন্তু যা অর্থ পাওয়া যায় তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
এজন্য দুর্বল গবেষণাকে দায়ী করছেন জলবায়ু গবেষকরা। এছাড়াও ধনী রাষ্ট্রগুলো বেশি প্রভাব খাটায় বলে অভিযোগ করেন গবেষকরা। তারা বলছেন, আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে ধনী রাষ্ট্রের বিপরীতে শক্ত তথ্য নিয়ে দাবি জানাতে হবে।
কয়েক দিন আগে আকষ্মিক বন্যায় তিস্তার পানি ছাড়িয়েছে রেকর্ড সীমা। উত্তরাঞ্চলে খরা আর দক্ষিণাঞ্চলে বাড়ছে লবনাক্ততা। দেশজুড়ে দিনে দিনে তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। এছাড়াও দিনে দিনে তীব্র হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিবছর জিডিপির ক্ষতি ২ শতাংশ।
এমন পরিস্থিতিতে ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটল্যান্ডে কপ–২৬ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশের জোট, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম, সিভিএফ এর গবেষণা বলছে, উন্নত বিশ্বের মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃস্বরণের ফল সরাসরি ভোগ করছে বাংলাদেশ।
গবেষকরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৬ হাজার ৬শ কোটি টাকা। অথচ চলতি বছরে জার্মানির দেয়া ৭শ কোটি টাকার বাইরে আর কোনো ক্ষতিপূরণ পায়নি দেশ। গবেষণা ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অভাবে ধনী দেশগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করা যাচ্ছে না।
৪৮ দেশ নিয়ে গড়া জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। আসন্ন কপ–২৬ জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশকে তাই শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
