ভারতের মণিপুরে সংঘর্ষে আরও একজন নিহত - Southeast Asia Journal

ভারতের মণিপুরে সংঘর্ষে আরও একজন নিহত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের মণিপুর রাজ্যের বিষ্ণুপুর জেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একজন।

এই ঘটনা প্রমাণ করছে, মণিপুরের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে—সরকার এমন দাবি করলেও বাস্তবের অবস্থা ভিন্ন।

মণিপুরে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জাতিগত সহিংসতা চলছে। এসব সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ৭০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এটা সরকারি হিসাব। তবে স্থানীয়দের মতে মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। সর্বশেষ নিহত ব্যক্তির নাম ত্রইজাম চন্দ্রমনি।

নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় আরও কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে কারফিউ জারি করা হয়েছে এবং এর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

মণিপুর রাজ্যের কেন্দ্রে বিষ্ণুপুর জেলার অবস্থান। এই জেলায় অনুপজাতি (উপজাতি শ্রেণিভুক্ত নয়, এমন সম্প্রদায়) মেইতেই সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ। অন্যদিকে বিষ্ণুপুরের পাশের জেলা চূড়াচাঁদপুরে উপজাতিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।

সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, এক দল ‘দুর্বৃত্ত’ ত্রংলাওবি গ্রামে কিছু পরিত্যক্ত বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। এসব বাড়ি দুটি জেলার সীমান্তে অবস্থিত। নিহত ও আহত ব্যক্তি সাম্প্রতিক সহিংসতার সময় চূড়াচাঁদপুরে তাঁদের গ্রাম থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলেন। তাঁরা বিষ্ণুপুরের ময়রাং অঞ্চলের ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

মেইতেই সম্প্রদায় তফসিলি আদিবাসী হিসেবে সংরক্ষণ পেতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মণিপুর হাইকোর্ট। এরপরই বিক্ষোভ শুরু করেন উপজাতিরা। শুরু হয় সংঘাত-সহিংসতা
এ ঘটনার পর মেইতেই সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে গতকাল বুধবার দুপুরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সড়ক অবরোধ করে চূড়াচাঁদপুরগামী সেনা কনভয় আটকে দেন তাঁরা। এদিকে নতুন করে বড় সংঘাতের আশঙ্কায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং আরও ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছেন।

এদিকে মণিপুরে সহিংসতা থামাতে এবং শান্তি ফেরাতে বুধবার দিল্লিতে কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের বুদ্ধিজীবীরা একটি বৈঠক করেছেন। এ সময় শান্তি ফেরানোর ওপর জোর দেওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষ একমত হয়েছেন।