পুলিশ সদস্যের স্বজনদের পুলিশ-সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধের কড়া নির্দেশ - Southeast Asia Journal

পুলিশ সদস্যের স্বজনদের পুলিশ-সামগ্রীর ব্যবহার বন্ধের কড়া নির্দেশ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

নিজেদের ব্যবহারের জন্য পুলিশ সদর দফতর থেকে দেওয়া সামগ্রী স্বজনদের দিয়ে দিচ্ছেন অনেক পুলিশ সদস্য। এগুলো ব্যবহার করে স্বজনদের অনেকেই অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এরকম একাধিক অভিযোগ পাওয়ার পর কড়া নির্দেশনা জারি করেছে পুলিশ সদর দফতর।

গত ১৭ আগস্ট পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) আতাউল কিবরিয়ার সই করা একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। পুলিশ সদর দফতরের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে—‘বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের সরকারিভাবে সরবরাহকৃত ক্যানভাস স্যু, হ্যাভারসেক, ছাতা ও অন্যান্য সামগ্রী সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যরা ব্যতীত তার পরিবারের অন্য সদস্য বা নিকটাত্মীয়দের ব্যবহার করতে দেখা যায়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এসব আইটেম পুলিশ পরিবারের সদস্য ব্যতীত জনসাধারণের মধ্যেও ব্যবহার করতে দেখা যায়, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। পুলিশ সদস্যদের জন্য সরবরাহকৃত এই ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করে অপরাধীচক্র যেকোনও অপরাধ সংঘটিত করতে পারে। এমতাবস্থায়, বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের জন্য সরবরাহকৃত ক্যানভাস স্যু, হ্যাভারসেক, ছাতা এবং অন্যান্য সামগ্রী সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্য ছাড়া তার পরিবারের অন্য কোনও সদস্য যাতে ব্যবহার না করে, এসব সামগ্রী যাতে জনসাধারণ বা ভিন্ন পেশার মানুষ ব্যবহার করতে না পারে, এ ব্যাপারে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদানসহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।’

নাম প্রকাশ না করে পুলিশ সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট শাখার এক কর্মকর্তা জানান, পুলিশ সদস্যরা জামা-কাপড়-জুতোসহ ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরকারিভাবে পেয়ে থাকেন। কিন্তু অনেক পুলিশ সদস্য এগুলো সংগ্রহ করার পর নিজে ব্যবহার না করে স্বজনদের দিয়ে দেন। কেউ কেউ সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রিও করে থাকেন। পুলিশ সদর দফতর থেকে দেওয়া সামগ্রীতে সাধারণত পুলিশের লোগো সংবলিত একটি স্টিকার লাগানো থাকে। অভিযোগ আছে, সেই স্টিকার ব্যবহার করে ভুয়া পুলিশ পরিচয় দিয়ে অনেকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণাও করে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারিভাবে বরাদ্দ ছাড়াও পুলিশের পোশাকসহ অন্যান্য সামগ্রী রাজধানীর পল্টনের পলওয়েল মার্কেটসহ অনেক দোকানে বিক্রি করা হয়। এসব দোকান থেকে পোশাক কিনে ভুয়া পুলিশ সেজে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি বা চেকপোস্টের নামে ছিনতাইও হয়ে থাকে। এছাড়া রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় একাধিক সিন্ডিকেট ডিবি পুলিশের জ্যাকেট সংগ্রহ করার পর ভুয়া ডিবি সেজে নিয়মিত ছিনতাই ও ডাকাতি করে বেড়াচ্ছে।

পুলিশ সদর দফতরের কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করার জন্যই একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত পুলিশ-সামগ্রী স্বজনদের ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে যে কেউ পুলিশ পরিচয় দিলেই প্রথমে তার পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। পরিচয় নিশ্চিত না হলে সাধারণ মানুষ প্রতারণা বা অপরাধের শিকার হতে পারেন।