পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের আঞ্চলিক রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে? – পর্বঃ ৪ - Southeast Asia Journal

পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের আঞ্চলিক রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে? – পর্বঃ ৪

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

ফিচার ডেস্কঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী বাঙ্গালীদেরকে ঘিরে বিভিন্ন মহল থেকে পরস্পরবিরোধী মূল্যায়ন পাওয়া যায়। পাহাড়ীদের একাংশ, যারা সক্রিয়ভাবে আঞ্চলিক রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তারা বাঙ্গালীদের বড় একটি অংশকে “সেটেলার” বলে দাবি করে। তারা পার্বত্য অঞ্চলকে একটি “বিশেষ অঞ্চল” বলে প্রতীয়মান করে, বাংলাদেশের অন্যান্য স্থানের মতো সকল নাগরিকদের প্রচলিত অধিকারের বিষয়টি মানতে চায়না। অপরদিকে বাঙ্গালীদের মধ্যে যারা সক্রিয় আঞ্চলিক রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তারা বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের অধিকার সমান, এমন যৌক্তিক দাবি করছে। এছাড়া গত শতকের ৮০’র দশকে তৎকালীন সরকার প্রদত্ত যেসকল ভূমি অসহায় বাঙ্গালীদেরকে বন্দোবস্তি দেয়া হয়েছে তার পূর্নবাস্তবায়নসহ সম অধিকার চায় তারা। তবে আঞ্চলিক রাজনীতিতে বাঙ্গালীদের অধিকার নিয়ে যারা কাজ করে তারা কয়েকটি দলে বিভক্ত। বাঙ্গালীদের মধ্যে এই অনৈক্যর সুযোগ নিচ্ছে উপজাতি আঞ্চলিক দলগুলো। অপরদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে সাধারণ উপজাতিদের মধ্যে যে পরিমান আগ্রহ রয়েছে বাঙ্গালীদের মধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে গুনগতমান ধরে রাখার বিষয়ে ঐ পরিমান আগ্রহ নেই। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিরা সরকার প্রদত্ত বিশেষ কোটা সুবিধা নেওয়ার পাশাপাশি নিজ যোগ্যতাতেও দেশে ও বিদেশে সুনামের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। অপরপক্ষে বাঙ্গালীরা আন্তঃকলহ, গুনগত শিক্ষা অনুপস্থিতি এবং সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সেইভাবে এগুতে পারছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন অবস্থানের পরেও বাঙ্গালীদের মধ্যে থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানের গুনগত নেতৃত্ব বেড়ে উঠার ক্রমধারা মন্থর গতিতে এগুচ্ছে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থিতিশীলতা অনয়নে বাঙ্গালীদের মধ্যে থেকে যোগ্য নেতৃত্ব এবং বাঙ্গালী ভিত্তিক আঞ্চলিক দলের ঐক্যবদ্ধ সক্রিয় কর্মকান্ড একান্ত প্রয়োজন।

সাউথইস্ট জার্নালের পক্ষ হতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের মধ্যে থেকে আঞ্চলিক রাজনীতিতে যারা উল্লেখযোগ্য ভাবে সম্পৃক্ত তাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকের ৪র্থ পর্বে পার্বত্য অধিকার ফোরামের অঙ্গ-সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের দীঘিনালা উপজেলা শাখার নেতা মোঃ সাদ্দাম হোসেনের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হলো। তিনি খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ থেকে ডিগ্রী পড়াশুনা শেষ করেছেন।

সাউথইস্ট জার্নালের সাথে তার কথোপকথন নিম্নরুপঃ

সাউথইস্ট জার্নাল: বর্তমানে পাহাড়ে বাঙ্গালীদের রাজনীতির বর্তমান গুনগত মান এবং এর ভবিষ্যৎ কি বলে মনে করেন?

সাদ্দাম: শুরুতেই যেহেতু রাজনীতির কথা আসছে, আমি শুরু করতে চাই হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, বাঙালীদের উজ্জল নক্ষত্র, শ্রেষ্ঠ মানব শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশে রাজনীতি সৃষ্টি করে গিয়েছেন। যার পরিশ্রমে আজ বাংলাদেশের মানুষ রাজনীতি করতে শিখেছে। পার্বত্য এলাকার রাজনীতিটা একটু ভিন্ন। বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় শহরে-বন্দরে যেটা আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত-শিবির সেই রাজনীতিটা পাহাড়ের ক্ষেত্রে আসলে উপজাতি-বাঙ্গালী হয়ে যায় বলে আমি মনে করি। কারণ, পাহাড়ে আমরা উপজাতি-বাঙ্গালী ২টা গোষ্ঠী বাস করি আর যারা বিএনপি-আওয়ামীলীগ করেন তাদের সম্পূর্নভাবে আলাদা আলাদা ভাগে বিভক্ত হতে হয়। দলের ভাব রক্ষার্থে বাঙ্গালীরা নির্যাতিত হলেও তারা বাঙ্গালীদের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। নিরপেক্ষভাবে কথা-বার্তা বলার চেষ্টা করেন। আর পাহাড়ে বাঙ্গালী সংগঠনগুলো আছে বলেই গুম, হত্যা আর চাঁদাবাজির মতো বিষয়গুলোর প্রতিবাদ করা যাচ্ছে। পার্বত্য এলাকায় বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর অন্যানয়ের প্রতিবাদ করার কারণে ইউপিডিএফ, জেএসএস, যেমন সন্তু লারমার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কিছুটা হলেও কমে আসছে। ভবিষ্যতে যদি আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যেতে পারি তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে সশস্ত্র বাহিনীগুলোকে বিতাড়িত করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি।

সাউথইস্ট জার্নাল: বাঙ্গালীদের যে আঞ্চলিক রাজনীতি আছে সেটার সাথে জাতীয় রাজনৈতিক দলের কোন সাংঘর্ষিক অবস্থা আছে কি? অনেকেই মনে করেন ইতিপূর্বে বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অনেকের সাথেই বিএনপি-জামাতের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?

সাদ্দাম: আসলে পার্বত্য এলাকায় যারা রাজনীতি করি তাদের মানসিকতা উপজাতি-বাঙ্গালীর মধ্যে থেকেই সৃষ্টি হয়। এখানকার জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আমাদের বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর কোন ফাঁটল নেই অনেক নেতা-কর্মী আছে যারা আমাদের সহজভাবে মেনে নিতে পারে না, তাদের নেতৃত্ব ধরে রাখার জন্য আমাদের কিছুটা কোনঠাসা করে রাখতে চায়। তারা ভাবে, বাঙ্গালীরা যদি উঠে আসে তাহলে আমাদের নেতৃত্বের উপর আঘাত হানতে পারে। আমরা আসলে এরকম চাইনা, আমরা যেখানে বাঙ্গালীদের সাথে বৈষম্য, অন্যায় হয় সেখানে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি, সেক্ষেত্রে সরকারী দল বা কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই। আরেকটা বিষয় হলো, আমি প্রায় ১ যুগ ধরে বাঙ্গালী সংগঠনের সাথে জড়িত। তখন আমাদের একটা দূর্নাম ছিলো আমাদের নেতাকর্মীরা না কি জামাত-শিবিরের সাথে জড়িত। সেই দূর্নাম থেককে বেরিয়ে এসে দীর্ঘ ৪ বছর আগে আমরা পার্বত্য অধিকার ফোরাম প্রতিষ্ঠা করি।

সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ফিরে যেতে চাই, যারা সেসময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলো সেই জামাত-শিবির থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সংগঠন তৈরী করেছি এবং সাফল্যের সহিত সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। বর্তমানে আমাদের কোন নেতা-কর্মী জামাত-শিবিরের সাথে জড়িত আছে বলে আমি মনে করিনা।

সাউথইস্ট জার্নাল: অনেক বাঙ্গালী আছে যারা আঞ্চলিক রাজনীতি করে, তাদের বিরুদ্ধেতো এলাকার জনগনই মামলা করেছে, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির কারণে! এবিষয়ে আপনার মন্তব্য কি?

সাদ্দাম: আমি বলেছিলাম, অনেক রাজনৈতিক নেতা-কর্মী আছে যারা তাদের সুবিধার জন্য আমাদের বাঙ্গালী সংগঠনগুলোকে কোনঠাসা করে রাখতে চায়। তারা চায় না বাঙ্গালী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনেকদূর এগিয়ে যাক। যারা রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত তারা উচ্চশিক্ষিত না হয়েও তাদের একটা প্রভাব থাকে এলাকায়, পক্ষান্তরে বাঙ্গালী সংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী অনার্স-মাস্টার্স করেও আঞ্চলিক সংগঠন করার কারণে এলাকায় তাদের কোন প্রভাব থাকে না। এসব কারণেই রাজনীতিবিদরা চায় না বাঙ্গালীরা উঠে আসুক। তাছাড়া যদি আমাদের কেউ চাঁদাবাজি বা অন্যায় কাজের সাথে জড়িত থাকে তাহলে আমরা ইনশাল্লাহ সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নিবো।

সাউথইস্ট জার্নাল: আপনার কাছে কি মনে হয়, বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর মধ্যে যে বিভেদ আছে সেগুলি একসময় ঐক্যে রুপান্তর করা সম্ভব?

সাদ্দাম: আমিও চাই আমাদের বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠুক, পাহাড়ে যে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ আছে তাদের মতো একটা ঐক্যর মাধ্যমে চলা উচিত। আমাদের মধ্যে বিভেদ থাকার কারণে আমরা পিছিয়ে। আমাদের যে নেতারা আছেন তারা যদি একটু সহনশীল হন, তাহলে আমার মনে হয় ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব।

সাউথইস্ট জার্নাল: স্থানীয় অনেকেরই শঙ্কা, বাঙ্গালী আঞ্চলিক রাজনীতির নামে আরেকটি চাঁদাবাজ ইউপিডিএফের সৃষ্টি হলো কি না? এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি?

সাদ্দাম: বাঙ্গালী সংগঠনগুলো ইউপিডিএফের মতো চাঁদাবাজি করবে সেটা কখনোই বাঙ্গালী জাতি বা প্রশাসন কোনভাবেই মেনে নিবেনা। সবাই জানে, ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন, তাদের নির্মূল করার জন্য সরকার পাহাড়ে সেনাবাহিনীসহ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে। আমাদের আঞ্চলিক রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকের কাছ থেকে অনেক প্রকার সহায়তা নিয়ে সংগঠন চালিয়ে থাকি, কোন প্রকার জোর করে না। অনেকে এটাকে ইউপিডিএফের মতো চাঁদাবাজি মন্তব্য করলেও আসলে সংগঠন চালাতে গিয়ে আমরা সহায়তা গ্রহণ করি মাত্র, এছাড়া আমাদের বাঙ্গালী সংগঠনের কেউ চাঁদাবাজিতে লিপ্ত বলে আমার মনে হয়না।

সাউথইস্ট জার্নাল: বাঙ্গালী সংগঠনগুলোতে শিক্ষিত ও উন্নত মানসিকতার কর্মীর অভাব রয়েছে কি?

সাদ্দাম: আমাদের বাঙ্গালী সংগঠনগুলোতে অবশ্যই শিক্ষিত ও উন্নত মানসিকতার কর্মীর অভাব রয়েছে। পাহাড়ীরা যেভাবে উন্নক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে সরকারের কাছ থেকে আমরা সেভাবে পাচ্ছিনা। বলতে লজ্জা লাগে আমরা নিজেদেরকে বাংলাদেশে বাঙ্গালী বলে পরিচয় দিতে পারি না, আমাদের অ-উপজাতি বলে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব থাকার পরেও আমাদের স্থায়ী বাসিন্দার সনদ নিতে হয়। যেটা দেশের অন্য কোথাও লাগে না। পাহাড়ে বাঙ্গালী রয়েছে সব ক্ষেত্রেই তাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। যার কারণে বাঙ্গালীরা শিক্ষাক্ষেত্রে বেশীদূর এগুতে পারছেনা।

সাউথইস্ট জার্নাল: গ্রাম পর্যায়ে যারা শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে তাদের বিষয়ে আপনাদের কোন পদক্ষেপ আছে কি ?

সাদ্দাম: আমাদের পার্বত্য এলাকার বেশীর ভাগ বাঙ্গালী শিশু ছোটবেলাতেই শিক্ষা থেকে ঝরে পড়ছে। আমরা যারা অনেক ধাক্কা খেয়ে, বাধা অতিক্রম করে এই পর্যায়ে এসেছি, যেমন আমি আমার এলাকায় শিশুদের বিনা পারিশ্রমিকে পড়াশুনা করাচ্ছি, চেষ্টা করছি তাদের সহযোগীতা করার জন্য। সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক নেতাসহ অন্যান্যদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে অসহায় বাঙ্গালী শিশুদের পড়ালেখায় সহায়তা করছি। আমরা এভাবেই চেষ্টা করছি যাতে পাহাড়ে বাঙ্গালী শিশুদের পড়ালেখাটা বন্ধ না হয়।

সাউথইস্ট জার্নাল: শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেতে আপনাদের গ্রাম পর্যায়ে কোন পরিসংখ্যান কমিটি আছে কি না?

সাদ্দাম: সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পেতে আমাদের গ্রাম পর্যায়ে এখনো পর্যন্ত কোন পরিসংখ্যান নেই, তবে আমি মনে করি এরকম একটি পরিসংখ্যান করে যদি সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায় পাহাড়ের আনাচে-কানাচের বাঙ্গালী শিশুদের আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রসর করে তুলতে পারবো।

সাউথইস্ট জার্নাল: বাঙ্গালীদের ও বাঙ্গালী সংগঠনগুলোর মানোন্নয়নে আপনি কি স্বপ্ন দেখেন?

সাদ্দাম: আমি যতদিন ধরে আঞ্চলিক বাঙ্গালী সংগঠন করি কখনো আশা করিনি আমি সংগঠন থেকে কিছু পাবো, আমরা পার্বত্য অঞ্চলের নিরীহ ও অসহায় বাঙ্গালীদের জন্য কাজ করেছি সবসময়। এর পরেও আমাদের আশা থাকে এ সংগঠন করে যদি কোন নেতৃ্-স্থানীয় পর্যায়ে যেতে পারি তাহলে বাঙ্গালীদের জন্য কথা বলার আরোকটু সুযোগ হবে। নেতৃস্থানীয় কোন পর্যায়ে না থাকায় আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করছি। যারা জাতীয় রাজনীতি করে তারা আমাদেরর কথাগুলো বলতে পারেনা। যদি নেতৃ-স্থানীয় পর্যায়ে যেতে পারি যেমন, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, সংসদীয় আসন, তাহলে আমরা আমাদের অধিকারের বিষয়ে কথা বলতে পারবো, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কথাগুলো পৌঁছাতে পারবো।

সাউথইস্ট জার্নাল: চাকমা সমাজে দেখা যায়, বর্তমানে ২০-২৫ জন পিএইচডি হোণ্ডার আছেন যারা দেশে-বিদেশে কর্মরত আছেন। বাঙ্গালীদের শিক্ষার গুনগত মান ঐ পর্যায়ে যেতে পারছে কি না, যে পর্যায়ে গেলে কার্যকরী নেতৃত্ব দিতে পারবে?

সাদ্দাম: শুরুতেই বলেছি পাহাড়ে বাঙ্গালী কোন কোটা নেই কিন্তু সব ক্ষেত্রেই উপজাতি কোটা রয়েছে। শুধুমাত্র পাহাড়ে বসবাস করি বলেই আমরা ভালো কোন অবস্থানে যেতে পারছি না। উপজাতি কোটার বদৌলতে উপজাতিরা বাঙ্গালীদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে। মেধা-শক্তি বেশী থাকার পরেও কোটার কারণে আমরা মেডিকেণ কলেজ-ভার্সিটিতে চান্স পাচ্ছি না। যদি পাহাড়ে উপজাতি কোটা বাতিল করে, উপজাতি-অ-উপজাতি বৈষম্য রোধ করে আমাদেরও সকল সুযোগ-সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় তাহলেই আমরা উপজাতি-বাঙ্গালী সমানভাবে এগিয়ে যেতে পারবো।

সাক্ষাৎকারের ভিডিও: