অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বৃত্তিপ্রাপ্ত উপজাতি স্কলারদের সংগঠন 'আসাব'-এর নতুন কমিটি গঠন - Southeast Asia Journal

অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বৃত্তিপ্রাপ্ত উপজাতি স্কলারদের সংগঠন ‘আসাব’-এর নতুন কমিটি গঠন

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্কঃ

অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন করা বাংলাদেশী উপজাতি স্কলারদের সংগঠন আসাব’র বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গত ১১ আগস্ট শনিবার ঢাকার বারিধারা অঞ্চলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকায় আসাব প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর প্রায় ১০ বছর পর অনুষ্ঠিত আসাব-এর এজিএম এ প্রায় অর্ধশত সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আসাব-এর সভাপতি ও চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়-এর সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য রাখেন এজিএম আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মিস এভেলিনা চাকমা এবং অর্থ বিবরণী পাঠ করেন কোষাধ্যক্ষ কাঞ্চন খীসা। এসময় সভায় সংগঠনের খসড়া গঠনতন্ত্র পাশ করা হয়।

সভায় দেবাশীষ রায়কে সভাপতি ও কাঞ্চন খীসাকে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি পদে শুভাশীষ চাকমা ও এভেলিনা চাকমা, যুগ্ম-সম্পাদক পদে লিনা লুসাই, কোষাধ্যক্ষ পদে সোহেল চন্দ্র হাজং এব ৯ জন নির্বাহী সদস্য পদে রয়েছেন বরেন্দ্রলাল ত্রিপুরা, বিপাশা চাকমা, পল্লব চাকমা, এলসি হাসদাক, অসীম ডিও, কিশোর কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, জুই চাকমা ও খিং খিং প্রু। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পূরবী চাকমা (প্রধান), রিতা চাকমা (সদস্য) ও রাণী ইয়ান ইয়ান (সদস্য)।

সাধারণ সভার শেষের দিকে অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাই-কমিশনার মিস পেন্নী মর্টন যোগ দিয়ে আসাব-এর নব-নির্বাচিত নির্বাহী কমিটিকে অভিনন্দন জানান। এরপর আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। দেবাশীষ রায়ের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাই কমিশনার মিস পেন্নী মর্টন। এসময় পল্লব চাকমার পরিচালনায় প্যানেল আলোচনায় ৫টি পৃথক পৃথক বিষয়ের ওপর ৫ জন আলোচক অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে সামগ্রিক চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন সোহেল চন্দ্র হাজং, নারীদের চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচনা করেন রাণী ইয়ান ইয়ান, সুবিধা বঞ্চিত জাতিসমূহের চ্যালেঞ্জ সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন লিনা লুসাই এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের সমন্বিত প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে আলোচনা করেন এভেলিনা চাকমা।

পরে অস্ট্রেলিয়ান ডেপুটি হাই কমিশনার মিস পেন্নী মর্টন ইনটেক ২০১৯ থেকে অস্ট্রেলিয়ান বৃত্তিতে বাংলাদেশ থেকে উপজাতি প্রার্থীদের মোট সংখ্যার ১০% রাখার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মোট ২৩৭ জন উপজাতি শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশুনার সুযোগ পেয়েছেন।