ভয়াল ১৭ আগষ্ট আজ, খাগড়াছড়িতে যাবজ্জীবন দন্ড নিয়ে কারাগারে ৩ জেএমবি সদস্য
![]()
নিউজ ডেস্কঃ
আজ ১৭ আগষ্ট। ভয়াল সেই দিন, ২০০৫ সালের যে দিনে দেশের ৬৩ জেলা প্রত্যেক্ষ করেছিলো জেএমবির ধ্বংশযজ্ঞ। সারাদেশের মতো ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট খাগড়াছড়ির আদালত প্রাঙ্গণ, এডিএম কোর্ট প্রাঙ্গণ ও শাপলা চত্বরের মুক্ত মঞ্চে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি। এসময় বড় বেশী হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ৩ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় দায়েরকৃত মামলায় ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিরিজ বোমা হামলা মামলার ১৬ আসামীর মধ্যে ১৫ জনকে বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারায় যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছে আদালত। বিশেষ ট্রাইবুনেলের বিচারক এবং খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ রত্মেশ্বর ভট্টাচার্য এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত জেএমবি সদস্যরা হলো- চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রধান আরিফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, রুহুল আমিন, মঞ্জুর মিয়া, রুহুল আমিন সুফি, ফারুক মিয়া, ইসমাইল হোসেন জমাদার, রুহুল আমিন। জামিনে মুক্ত ৩ জেএমবি সদস্য হলো- এমদাদ মাস্টার, হাসান আল মাহমুদ ও আবদুল করিম।
রায় ঘোষণার সময় মামলার ১৬ আসামীর মধ্যে ১৫ জন উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ নামে একজনকে খালাস দিয়ে পলাতক বেলাল মিয়া সহ ১৫ জনকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন এবং ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬মাসের জেল দেয় বিচারক। এছাড়া ৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এদিকে ২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট সারাদেশে বিএনপি ও জামায়াতের মদদপুষ্ট নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি কতৃক একযোগে ঘৃন্য ও নারকীয় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগে আয়োজনে ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি টিটো চাকমার নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় থেকে একটি কালো পতাকা মিছিল বের হয়ে শাপলা চত্ত্বর হয়ে ভাঙ্গা ব্রীজ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল এসে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু হয় ।
এসময় সমাবেশে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শানে আলম, জেলা পরিষদ সদস্য মংসুউপ্রু চৌধুরী অপু, পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।