পাকুয়াখালীতে গণহত্যায় নিহতদের স্বরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাকুয়াখালী গণহত্যায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় রাঙামাটি কোর্টবিল্ডিং এলাকার কালেক্টর জামে মসজিদে বাদে আছর দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এসময় কালেক্টর মসজিদের খতিব জনাব মাওলানা আব্দুল হাশেম হুজুর মিলাদ পড়ান ও নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
এসময় সংগঠনের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব। এছাড়াও পার্বত্য অধিকার ফোরাম এবং বাঙালী ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীবৃন্দ ও মসজিদের মুসল্লিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
“উল্লেখ্য” ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর অঙ্গ সংগঠন শান্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসীরা রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালিতে নিরীহ এবং নিরস্ত্র বাঙালি কাঠুরিয়াদের উপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তাদের বীভৎস মানসিকতার এক জঘন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল।
স্বাধীনতার পর পরই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) এর অঙ্গ সংগঠন শান্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা ও উপজাতি সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করে। শ্রমই ছিল তাদের জীবিকা নির্বাহের উপায়। রুজি রোজগারের সহজ বিকল্প কোন উপায় না থাকায় বনের গাছ, বাঁশ আহরণেই তারা বাধ্য ছিল। শান্তিবাহিনী মিটিং করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
বক্তারা আরো বলেন, শান্তিবাহিনী সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। ৩৫ টি মাথা একটি বস্তায় করে আনা হয়েছিল। একটি লাশেরও হাত সাথে ছিল না। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে এবং বেয়নেট ও অন্যান্য দেশিয় অস্ত্র দিয়ে খোঁচিয়ে খোঁচিয়ে নানা ভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষ গুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকাতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। এই বীভৎস লাশের করুন চিত্র, এখনো আমাদের হৃদয়কে নাড়া দেয়।