ইউপিডিএফের গোপন আস্তানায় সেনাবাহিনীর অভিযান, উদ্ধার হলো গোলাবারুদ
আজ ভোরে দুর্গম পাহাড়ে এই অভিযান চালায় সেনাবাহিনী
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির কাউখালি উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হাজাছড়ি এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানের লক্ষ্য ছিল পাহাড়ে রাষ্ট্র বিরোধী সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনাকারী আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাদের গোপন আস্তানা উদঘাটন করা।
সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আজ শুক্রবার ভোরবেলা পরিচালিত অভিযানের সময় সেনাবাহিনীর রাঙামাটি সদর জোনের আভিযানিক দল প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল ইউপিডিএফের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান পায়। এসময় সেনা সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী তল্লাশি চালিয়ে ওই আস্তানা থেকে ১৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, একটি বাইনোকুলার, একটি ওয়াকি-টকি সেট, একটি হার্ডডিস্ক, সন্ত্রাসীদের ইউনিফর্ম এবং চাঁদা আদায়ের রশিদসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

বিক্ষোভের মাধ্যমে অভিযান বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা
এদিকে অভিযান চলাকালে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা তাদের চিরাচরিত কৌশল অনুযায়ী কিছু পাহাড়ি মহিলার মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং অভিযানে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টা করে। তারা আটককৃত গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা করে। তবে, সেনাবাহিনী অত্যন্ত ধৈর্য এবং পেশাদারিত্বের সাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেনাবাহিনী আরও জানায়, শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদের অভিযান চলমান থাকবে।

সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপে স্থানীয় জনগণের সমর্থন
স্থানীয় জনগণ ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা সেনাবাহিনীর এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন। একজন স্থানীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের নিরাপত্তা এবং শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই ধরনের অভিযান শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।

একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখছে না, বরং আন্তর্জাতিক পরিসরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সেনাবাহিনীর অভিযান দেশের শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, বলছেন বিশ্লেষকরা।
উল্লেখ্য, অতি সম্প্রতি কয়েকটি পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনের অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিবিধ চালান পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সেই দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক আটক হয়, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।