বেতন-বোনাসের দাবিতে মহাসড়কে শ্রমিকরা, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে যান চলাচল অব্যাহত

বেতন-বোনাসের দাবিতে মহাসড়কে শ্রমিকরা, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে যান চলাচল অব্যাহত

বেতন-বোনাসের দাবিতে মহাসড়ড়ে শ্রমিকরা, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে যান চলাচল অব্যাহত
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের ভুইয়াগাঁতী এলাকায় একটি কটন মিলের শ্রমিকেরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে যানচলাচল একদম বন্ধ হয়ে যায়।

শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে ভুইয়াগাঁতী এলাকার ‘আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিল’ কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সোয়া ৩টার দিকে সেনাবাহিনী ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে কারখানার সামনে নিয়ে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জানা যায়, দুপুরে ঢাকা বগুড়া মহাসড়কে শ্রমিকরা আধাঘন্টা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল, যার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ দুর্ভোগের শিকার হয়েছিল। খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প হতে ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত এর নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সকল সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা মহাসড়ক ছেড়ে যায়।

বেতন-বোনাসের দাবিতে মহাসড়কে শ্রমিকরা, সেনাবাহিনীর আশ্বাসে যান চলাচল অব্যাহত

সূত্র জানায়, পরবর্তীতে সিরাজগঞ্জ আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সুদীপ্ত, স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতে কটন কোম্পানির মালিক ও পরিচালকদের সাথে বৈঠক করেন। এতে নিশ্চিত করা হয়, আজকের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হবে এবং তারা ইফতারের পূর্বে বেতন তুলে নিতে পারবেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, কটন মিলের আন্দোলনকারী শ্রমিকদের বড় একটি অংশ ইতিমধ্যে তাদের বেতন ও বোনাসের টাকা উত্তোলন হাতে পেয়েছেন এবং বাকিরাও আজ সন্ধ্যার মধ্যেই বেতন পেয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে, এই পদক্ষেপের জন্য শ্রমিকরা সেনাবাহিনীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ জানান, শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাস না পেয়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছিল। এরপর ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিক ফজলুল হক বলেন, চলতি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস না দেওয়ায় আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ এসে আমাদের আশ্বস্ত করেছে। ইতিমধ্যে আমাদের বেতন দেয়া শুরু হয়েছে।

আর আর স্পিনিং অ্যান্ড কটন মিলের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) আব্দুল মান্নান বলেন, কারখানায় প্রায় চার শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। চলতি মাসের বেতন না দেয়ায় তারা মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মহাসড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এখন আমরা তাদের বেতন পরিশোধ শুরু করেছি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।