কিশোরগঞ্জে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফের চালু হলো পাঁচ বছর ধরে অচল থাকা পাঠাগার

কিশোরগঞ্জে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফের চালু হলো পাঁচ বছর ধরে অচল থাকা পাঠাগার

কিশোরগঞ্জে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফের চালু হলো পাঁচ বছর ধরে অচল থাকা পাঠাগার
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

প্রায় পাঁচ বছর ধরে বন্ধ থাকা কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর গণগ্রন্থাগারটি ফের চালু করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর উদ্যোগ এবং উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান পাঠাগারটির নতুন পথচলা উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) অব বাংলাদেশ বিষয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে প্রশাসন। উপজেলা সদরের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪০ জন শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।

এদের মধ্যে ১০ জন বিজয়ীকে মঙ্গলবার পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ ছাড়া বাজিতপুর সেনা ক্যাম্পের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন নিবিড় পাঠাগারের জন্য উপহার হিসেবে ধ্রুপদ বাংলা ও বিশ্বসাহিত্যের নানা শাখার ২৫ সেট বই জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বাজিতপুরের ইউএনওকে সরকারি স্থাপনায় প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারটি সরকারি করার প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, তিনি প্রস্তাব অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন। এ ছাড়া তিনি পাঠাগার চত্বরে পাঠকদের বসার উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি পাঠাগার সচল রাখতে এলাকার সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

নতুন পথচলার উৎসবে অন্যদের মধ্যে বাজিতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক ফারাশিদ বিন এনাম, জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী বনি আমিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বাবুল মিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিল।

সেনা ক্যাম্প সূত্র জানায়, এক শিক্ষকের ফেসবুক পোস্ট থেকে পাঠাগারের অচলাবস্থার কথা জানতে পারেন তারা। পরে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বাজিতপুর সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে পাঠাগার চালুর বিষয়ে আলাপ করেন। এরপর টানা দুই সপ্তাহের কর্মতৎপরতার পর এটি মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়।

১৯৮৫ সালে বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. ইয়াকুব মিয়া ও প্রথম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীস নাগের উদ্যোগে প্রথমবার এ পাঠাগারটি চালু হয়। পাঠাগারটি ব্রিটানিকা, এনসাইক্লোপেডিয়াসহ বিশ্বকোষের নানা গ্রন্থ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের সম্পূর্ণ খণ্ডসহ কয়েক হাজার বাংলা এবং বিশ্বসাহিত্যের নানা শাখার বইয়ে সমৃদ্ধ।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।