শিক্ষাঙ্গনে উগ্র মতবাদ প্রচার: রাবিতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিলেন মাইকেল চাকমা

শিক্ষাঙ্গনে উগ্র মতবাদ প্রচার: রাবিতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিলেন মাইকেল চাকমা

শিক্ষাঙ্গনে উগ্র মতবাদ প্রচার: রাবিতে রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য দিলেন মাইকেল চাকমা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউপিডিএফ-এর সংগঠক মাইকেল চাকমা ফের রাষ্ট্রবিরোধী ও সংবিধানবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। শুক্রবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্সে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি দেশের স্বাধীনতা, সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় সংহতির বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর: পাহাড়-সমতলে জাতিসত্তাসমূহের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাইকেল চাকমা এক পর্যায়ে দাবি করেন, “শুধু এই সরকার নয়, সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম নানাভাবে আগ্রাসনের শিকার”। তিনি ১৮০৭ সাল থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সময় পর্যন্ত রাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি ও পদক্ষেপকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ‘আধিপত্যবাদ’ ও ‘সামরিকায়ন’ বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমানসহ বাংলাদেশের সব সরকারের পার্বত্য নীতিকে ‘গণতান্ত্রিক আগ্রাসন’ বলে উল্লেখ করে মন্তব্য করেন, “চুক্তির মাধ্যমেও আমরা প্রতারিত হয়েছি।” এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বিরুদ্ধেও বিষোদগার করেন ইউপিডিএফ-এর এই নেতা।

বিশ্লেষকদের মতে, মাইকেল চাকমা এভাবে নিয়মিতই সরকারবিরোধী ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পাহাড়ে শান্তি ও সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছেন। তিনি প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ-এর সক্রিয় সদস্য, যা পার্বত্য চট্টগ্রামে একাধিক সহিংসতা, সশস্ত্র হামলা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো উচ্চশিক্ষার মুক্তচিন্তার পরিসরে এ ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকে মঞ্চ দেওয়া এবং রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী বক্তব্য প্রচারের সুযোগ দেওয়ায় শিক্ষার্থী ও সচেতন মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউপিডিএফ গত দুই দশক ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি হিসেবে পরিচিত, যারা শান্তিচুক্তি প্রত্যাখ্যান করে অস্ত্রের মাধ্যমে একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এই সংগঠন ও এর নেতারা দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে আসছে।

প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের উগ্র ও দেশবিরোধী বক্তব্য দেওয়া ব্যক্তি ও সংগঠনের উপস্থিতি কেবল উদ্বেগজনকই নয়, বরং তা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও নিরাপত্তা সংস্থার নজরে আনা জরুরি।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।