আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের বিবাদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলি
![]()
নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা শহরের চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন পাহাড়ের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া এ সংঘর্ষে এক নারীসহ অন্তত কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শহরের কেন্দ্রস্থলে প্রকাশ্য দিবালোকে সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শহরের চেঙ্গী স্কয়ারে উভয় পক্ষ ইটপাটকেল ও গুলতি নিক্ষেপ শুরু করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পরে একপর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায়। সংঘর্ষে অনাদি চাকমা নামে এক নারী আহত হন বলে দাবি করেছে একটি পক্ষ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ইউপিডিএফের একটি পক্ষ “ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন দিবস” উপলক্ষে চেঙ্গী স্কয়ারে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ মাঠ থেকে মিছিল নিয়ে চেঙ্গী স্কয়ারে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। ইউপিডিএফের একটি পক্ষ এ হামলার জন্য প্রতিপক্ষ গ্রুপকে দায়ী করে বলেছে, তারা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বানচালের চেষ্টা করেছে।

অন্যদিকে প্রতিপক্ষ পক্ষটি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, সমাবেশে উসকানিমূলক বক্তব্য ও আচরণের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় কেউ পড়ে গিয়ে আহত হয়ে থাকতে পারে, তবে তারা কোনো গুলি ছোঁড়েনি বলে দাবি করে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শহরের পরিবেশ অস্থির হয়ে ওঠে। পথচারী ও সাধারণ জনগণ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার সময় সেখানে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধা জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
- অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
- ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
- ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল কন্টেন্টের দুনিয়ায়।
প্রসঙ্গত, পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য, চাঁদাবাজির ভাগ-বাটোয়ারা এবং রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে কয়েক গ্রুপের সংঘাত চলে আসছে, যার ফলে পাহাড়ি জনজীবনে অস্থিরতা ও নিরাপত্তাহীনতা দিন দিন বাড়ছে।