পাকিস্তানে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা

পাকিস্তানে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা

পাকিস্তানে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সরকার এখন সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে। প্রস্তাবিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনীর আওতায় সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও সেনাপ্রধান নিয়োগসংক্রান্ত সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার কথা বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার শিগগিরই এই সংশোধনী সংসদে উপস্থাপন করবে। সমালোচকদের আশঙ্কা, এই সংশোধনের মাধ্যমে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের বেসামরিক রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব আরও গভীর হবে।

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক ও বেসামরিক শাসনের টানাপোড়েনে ভুগছে। সেনাবাহিনীর সরাসরি শাসন, সরকারের ওপর প্রভাব ও অর্থনীতিতে আধিপত্য পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অন্যতম বাধা হিসেবে দেখা হয়। সম্প্রতি পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এক টুইটে জানান, সরকার এই সংশোধনী পাসে তার দলের সমর্থন চাইছে।

এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সেনেটে বক্তব্যে সংশোধনীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অবশ্যই সরকার এটি আনছে, এবং খুব শিগগিরই ২৭তম সংশোধনী সংসদে উপস্থাপন করা হবে। আমরা সংবিধান ও আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তা করব।’

তিনি বিরোধী দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) অভিযোগও নাকচ করে বলেন, ‘এটি হঠাৎ ভোটাভুটি বা অনিয়মিতভাবে পাস করানো হবে না।’

কী আছে প্রস্তাবিত সংশোধনীতে

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, সংশোধনীর খসড়ায় শুধু সেনাপ্রধান নিয়োগই নয়—

  • সংবিধানিক আদালত গঠন
  • নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ প্রক্রিয়া সংস্কার
  • এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেসি পুনঃপ্রবর্তন
  • বিচারকদের বদলি সংক্রান্ত ব্যবস্থা
  • প্রদেশগুলোর রাজস্ব ভাগ কমানো
  • শিক্ষা ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে প্রাদেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে ফেডারেল সরকারের অধীনে আনা
  • এছাড়া জাতীয় অর্থ কমিশনের মাধ্যমে প্রদেশগুলোর রাজস্ব ভাগের সুরক্ষা বাতিলের কথাও বলা হয়েছে।

সংশোধনী পাসের জন্য সংসদের উভয় কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। পাকিস্তান সরকার জাতীয় সংসদের ৩৩৬ আসনের মধ্যে ২৩৩ আসন নিয়ন্ত্রণে রাখলেও, ৯৬ সদস্যের সিনেটে তাদের সংখ্যা ৬১- যা পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে সরকারকে অন্তত তিনজন বিরোধী সিনেটরের সমর্থন প্রয়োজন হবে। জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম (ফজল) দলের সমর্থন পেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *