রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

রাঙামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

‘আমার পাহাড়, আমার জীবন’ এবং ‘যুগে যুগে তারুণ্যের শক্তি, ঘরে তুলবে পার্বত্য ভূমির মুক্তি’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদ এর ১০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা মো. নুর হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবীব আজম।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফছার রনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোরশেদা আক্তার, নাগরিক পরিষদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. সাব্বির আহমদ, রাঙামাটি জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, যুব পরিষদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর বাদশা, ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যান্যেরা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাজী মজিবর রহমান বলেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা, চাকরি এবং উচ্চশিক্ষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা কোটা ও বিশেষ সুবিধার ফলে এগিয়ে গেলেও একই অঞ্চলে বসবাসকারী পার্বত্য বাঙালিরা পিছিয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, “আমি বলব না কারও সুবিধা কমিয়ে অন্যের সুবিধা দিতে হবে। কিন্তু একই পরিবেশে বসবাসকারী পার্বত্য বাঙালিরা কেন নিজেদের প্রাপ্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে? মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাওয়ার অধিকার তো সবারই আছে।”

তিনি আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চল দেশের মানচিত্র রক্ষার দায়িত্বে থাকা সংবেদনশীল এলাকা, এখানে বসবাসকারী সব নাগরিকের সমান সুযোগ ও মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব জাতিগোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার ও ঐক্য সংরক্ষণ জরুরি, এবং উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাঠামোতে কাউকে পিছিয়ে রাখা উচিত নয়।

পথসভা শেষে নবঘোষিত ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে সাংগঠনিক কার্যক্রম, উন্নয়ন বঞ্চনা এবং ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের আলোচনা ও আন্দোলন জোরদার হয়েছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed