পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ সিঁড়ি নির্মাণ: মানবিক উদ্যোগে উদাহরণ সৃষ্টি করল সেনাবাহিনী

পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ সিঁড়ি নির্মাণ: মানবিক উদ্যোগে উদাহরণ সৃষ্টি করল সেনাবাহিনী

পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ সিঁড়ি নির্মাণ: মানবিক উদ্যোগে উদাহরণ সৃষ্টি করল সেনাবাহিনী
“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াতকে সহজ ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও গুইমারা রিজিয়নের অধীনস্থ লক্ষীছড়ি জোন বর্মাছড়ি মুখ উচ্চ বিদ্যালয় হতে ছাত্রাবাসে যাওয়ার খাড়া পাহাড়ি পথে একটি স্থায়ী সিঁড়ি নির্মাণ করেছে, যা শুধু একটি অবকাঠামো নয়—এটি পাহাড়ি মানুষের জন্য একটি মানবিক আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

দীর্ঘদিন ধরে বার্মাছড়ি মুখ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাত্রাবাসে যাওয়ার খাড়া ঢালু পথটি শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল বড় ধরনের ভোগান্তি ও ঝুঁকির বিষয়, বিশেষত বর্ষাকালে এ পথ ব্যবহার করা ছিল প্রায় অসম্ভব।

পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ সিঁড়ি নির্মাণ: মানবিক উদ্যোগে উদাহরণ সৃষ্টি করল সেনাবাহিনী

এই বাস্তবতা বিবেচনায় গুইমারা রিজিয়নের সার্বিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে লক্ষীছড়ি জোন দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে স্থায়ী সিঁড়ি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে।

সেনাবাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের যাতায়াত আজ আরও নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও নির্বিঘ্ন হয়েছে। বহুদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটায় স্থানীয় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ সিঁড়ি নির্মাণ: মানবিক উদ্যোগে উদাহরণ সৃষ্টি করল সেনাবাহিনী

এছাড়া সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে খেলার সামগ্রী বিতরণ করেন এবং পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রীতিমূলক ফুটবল খেলায় অংশ নেন।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ মিথস্ক্রিয়া শিক্ষার্থীদের মনে আনন্দ ও অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলে। স্থানীয়রা জানান—এ ধরনের উদ্যোগ শিশু-কিশোরদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

স্থানীয় পাহাড়ি জনগণ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকরা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসার চোখে দেখছেন। তারা মনে করেন—শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের স্বার্থে সেনাবাহিনীর এমন কার্যক্রম শুধু বর্তমান প্রজন্ম নয়, ভবিষ্যত প্রজন্মকেও উপকৃত করবে।

পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ সিঁড়ি নির্মাণ: মানবিক উদ্যোগে উদাহরণ সৃষ্টি করল সেনাবাহিনী

লক্ষীছড়ি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সম্প্রীতি বজায় রাখা, উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন জোন অধিনায়ক।

উল্লেখ্য, পাহাড়ি জনজীবনের কষ্ট লাঘবে সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের আস্থা আরও সুদৃঢ় করেছে।

  • অন্যান্য খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন।
  • ফেসবুকে আমাদের ফলো দিয়ে সর্বশেষ সংবাদের সাথে থাকুন।
  • ইউটিউবেও আছি আমরা। সাবস্ক্রাইব করে ঘুরে আসুন ডিজিটাল  কন্টেন্টের দুনিয়ায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed