২৮ আগষ্ট খুলছে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্র গুলো, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি - Southeast Asia Journal

২৮ আগষ্ট খুলছে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্র গুলো, মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারনে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী শুক্রবার (২৮ই আগষ্ট) থেকে খুলছে খাগড়াছড়ি পর্যটন কেন্দ্রগুলো। রবিবার (২৩ আগষ্ট) খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন এ–সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।

এর ফলে সব পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি আবাসিক হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলোর উপর করোনাকালীন সরকারি বাধা নিষেধ উঠে যাবে।

জানা গেছে, গত মার্চের মাঝামাঝি থেকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে খাগড়াছড়ি পর্যটনকেন্দ্র ও আবাসিক হোটেল-মোটেল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে পর্যটন কেন্দ্র সমূহ বন্ধ ছিল।

জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলায় করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তাছাড়া চট্টগ্রাম, রাঙামাটিসহ পার্শ্ববর্তী জেলা গুলোতে পর্যটন স্পট সমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে। এজন্য খাগড়াছড়ি হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করােনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ প্রতিরােধকল্পে গঠিত জেলা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহ পর্যটকদের জন্য শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত করার ঘােষণা দেয় জেলা প্রশাসক।

জেলা প্রশাসনের শর্তসমূহ:
১। আগামী ২৮ আগষ্ট ২০২০ তারিখ হতে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পর্যটন স্পটসমূহ (জেলা পরিষদ পার্ক, আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, রিছাং ঝর্ণা ও মায়াবিনী লেক) সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া যাবে।

২। পর্যটন কেন্দ্র সমূহে আগত পর্যটক গণকে মাস্ক পরিধান ব্যতিত পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া যাবে না।

৩।পর্যটন কেন্দ্র সমূহের প্রবেশ মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে পর্যটকগণের হাত জীবানুমুক্ত করতে হবে।

৪। শারিরীক ভাবে অসুস্থ অবস্থায় পর্যটন কেন্দ্রে ভ্রমণ করা যাবে না।

৫। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে;
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি/বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন কর্তৃক প্রণীত নির্দেশনা যথাযথ ভাবে মেনে চলতে হবে বলে গন বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলা প্রশাসক।

জেলার পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, জেলা শহর ও উপজেলা গুলোতে প্রায় ১শ টিরও বেশি আবাসিক হোটেল-মোটেলে পর্যটন মৌসুমে দৈনিক পাঁচ হাজারের বেশি পর্যটক আসেন। পর্যটকদের সেবায় আবাসিক হোটেল-মোটেলে প্রায় ৪ হাজার জন কর্মী, ট্যুরিস্ট গাইডসহ,৭/৮ শতাধিক গাড়ি চালক ও চালকের সহকারী এবং খাবারের দোকানের কর্মচারীদের কর্মসংস্থান হয়ে থাকে।