মাটিরাঙ্গায় ইউনানী ডিগ্রিধারীর অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা, ছয় মাসের কারাদণ্ড - Southeast Asia Journal

মাটিরাঙ্গায় ইউনানী ডিগ্রিধারীর অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা, ছয় মাসের কারাদণ্ড

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ইউনানীতে ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হয়েও দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় লোকজনকে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন একেএম রফিকুল ইসলাম। মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনে আরিশ মেডিকেল হলে চেম্বার করে রোগীদের চিকিৎসা দিতেন এ চিকিৎসক। দীর্ঘ প্রতারণার পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা খেলেন এ ভুয়া চিকিৎসক।

শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে প্রতারক একেএম রফিকুল ইসলামের চেম্বার আরিশ মেডিকেল হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববি। এ সময় বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২২ ধারায় তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আটক ভুয়া চিকিৎসক একেএম রফিকুল ইসরাম ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজহার উদ্দিনের ছেলে। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত একেএম রফিকুল ইসলাম এক মেয়ে সন্তানের জনক।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আক্তার ববি বলেন, ইউনানী ডিগ্রিধারী হিসেবে তিনি তার নামের পাশে ইউনানী প্র্যাক্টিশনার লিখতে পারেন। আইন অনুযায়ী তিনি কখনই তার প্রেসক্রিপশনে নামের পাশে ডাক্তার লিখতে পারেন না। ঐতিনি সাধারণ মানুষের সরলতাকে পুঁজি করে ১৫ বছরের অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরিচয়ে অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসাও দিতেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন। তাই বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ এর ২২ ধারায় তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

অভিযানকালে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ময়নাল হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওমর ফারুক ও মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. এমরান হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।