বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ, ভারী বর্ষণ-জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা
![]()
নিউজ ডেস্ক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে নদী বন্দরের মধ্যে কিছু এলাকায় ২ এবং কিছু এলাকায় ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তাছাড়া এর প্রভাবে উপকূল, অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল আছে। পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের পশ্চিমাংশ থেকে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সতর্কতায় বলা হয়, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী, অর্থাৎ ৪০ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে অতি ভারী, অর্থাৎ ৮৯ মিলিমিটারের চেয়েও বেশি বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা কমতে পারে ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, নিম্নচাপটি গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, শুক্রবার সকালে তা আছে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। একইভাবে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন আছে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৪৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ছিল ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, এখন ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। এছাড়া দেশের অন্য এলাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।