বিভ্রান্তমূলক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জেএসএস (সন্তু)’র চিরাচরিত মিথ্যাচার
ফিচার ডেস্ক
বাংলাদেশের এক দশমাংশ অঞ্চল নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশের নামে ভিত্তিহীন, বানোয়াট, নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে অপপ্রচার, ক্ষেত্র বিশেষে প্রকৃত ঘটনাকে বিকৃত করে ও মিথ্যাচার চালিয়ে জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামের এক সময়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী গেরিলা সংগঠন শান্তি বাহিনীর নেতা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা ও তার দল সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)। নিজেদের তথ্য ও প্রচার বিভাগের নামে থাকা ওয়েব সাইট থেকে প্রতিমাসে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রতিবেদন প্রকাশের নামে সরকার, নিরাপত্তাবাহিনী ও সেখানে বসবাসরত বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীকে নিয়ে এসব ঘৃন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে সংগঠনটি। (১) সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার বিভাগ “আগষ্ট ২০২০- পার্বত্য চট্টগ্রাম মানবাধিকার পরিস্থিতির মাসিক প্রতিবেদন” নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটির কয়েকটি বিষয়ের সত্যতা যাচাই করে পাঠকদের সুবিধার্থে ইতিপূর্বে লেখকের একটি লেখা সাইথইস্ট এশিয়া জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। (২)
জেএসএস কর্তৃক প্রকাশিত উক্ত বানোয়াট ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত প্রতিবেদনে উল্লেখিত, ক্রমিক ‘ক’ এর ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ১০, ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ক্রমিক ‘খ’ এর ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৮, ক্রমিক ‘ঘ’ এর ১, ২, ৩, ৪ এবং ক্রমিক ‘ঙ’ এর সঠিক তথ্য উদঘাটন করে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করতে সরজমিনে পরিদর্শন, সঠিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেই এ লেখার অবতারণা।
উক্ত মিথ্যা প্রতিবেদনটির ক্রমিক নং ‘ক’ এর ১, ৩, ৪, ৬, ৮, ১২, ১৩ ও ১৪ নং কলামে উল্লেখিত কলামে আনীত অভিযোগের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান ও সঠিক তথ্য-উপাত্ত যাচাই করেও কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। তবে, ক্রমিক ‘ক’ এর ২নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, গত ৬ আগষ্ট ২০২০ তারিখে ৭ আরই ব্যাটালিয়নের (জীবতলী) বরাদম টিওবি সেনা ক্যাম্প হতে একটি সেনা টহল দল গিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরাদম এলাকায় নিজ বাড়ি হতে সন্দেহভাজন জেএসএস (সন্তু) এর চাঁদা কালেক্টর চিক্কো চাকমা (৪৮) কে আটক করে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন ৭ আগষ্ট তাকে এলাকার হেডম্যান-কার্বারীদের উপস্থিতিতে মুচলেকা গ্রহণ স্বাপেক্ষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া, ক্রমিক ‘ক’ এর ৫নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৮ আগষ্ট ২০২০ তারিখে কাপ্তাই জোন অধীনস্ত শিতা পাহাড় টিওবি সেনা ক্যাম্প আওতাধীন চিৎমরম বাজারে অভিযান চালিয়ে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র সংগঠন জেএসএস এর চাঁদা কালেক্টর মংনুসিং মারমা (৫৬) কে আটক করে সেনা সদস্যরা। পরবর্তীতে তাকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ১২ আগষ্ট তারিখে রাঙামাটি সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, আটককৃত মংনুসিং মারমা (৫৬)কে কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা নং-০১/তারিখ ০৫ এপ্রিল ২০২০, ধারাঃ ৪৪৮/৩০২/৩৪ পেনাল কোড হত্যা মামলায় আটক দেখায় পুলিশ।
ক্রমিক ‘ক’ এর ৭নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তথ্য উপাত্ত অনুসন্ধান করে জানা যায়, গত ৯ আগষ্ট ২০২০ তারিখে কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গাছড়াস্থ কুকিমারা ইউনিয়নে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে নিজেদের আদিবাসী দাবী করে আদিবাসী সম্বলিত পোষ্টার নিয়ে রাস্তায় একত্রিত হয় জেএসএস (সন্তু) এর ১০-১২জন নেতা-কর্মী। খবর পেয়ে প্রথমে পুলিশ ও পরে বিজিবি সদস্যরা সেখানে গিয়ে সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই মর্মে তাদের অবগত করে রাস্তায় কোন ধরণের হট্টগোল করতে নিষেধ করে। ক্রমিক ‘ক’ এর ১০নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, গত ১৪ আগষ্ট ২০২০ তারিখে ২৩ ইবি (কাপ্তাই জোন) এর পানছড়ি সেনা ক্যাম্পের আওতাধীন প্যাচোরি কিয়াংঘরের পাশে একটি বাড়িতে জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের ৫জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও ২জন চাঁদা কালেক্টর দুপুরের খাবে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় পানছড়ি সেনা ক্যাম্পের একটি সেনা দল। সেখানে গিয়ে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির প্রমান পেলেও টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় জেএসএস সন্ত্রাসীরা। এসময় সেখানে আশেপাশে তল্লাশি চালিয়ে জেএসএস (সন্তু) দলের সক্রিয় সদস্য মংথোয়াই চিং মারমা (৪১) কে আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। একইদিন সন্ধ্যায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস এর নির্দেশে স্থানীয় জেএসএস সমর্থক বৌদ্ধ ভিক্ষু উঃ পুঞাসারাসহ একদল উপজাতি নারী-পুরুষ সেনা ক্যাম্পের সামনে এসে হট্টগোল করে তা আটককৃত আসামী ছিনিয়ে নিতে ক্যাম্পে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এসময় ক্যাম্পের এক সেনা সদস্য আকাশের দিকে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরদিন ১৫ আগষ্ট আটককৃত ব্যক্তিকে তাকে চন্দ্রঘোনা থানায় হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, আটককৃত মংথোয়াই চিং মারমা (৪১)কে কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা থানায় মামলা নং-০১/তারিখ ০৩ জুলাই ২০২০, ধারাঃ ৪৪৮/৩০২/৩৪ পেনাল কোড হত্যা মামলায় আটক দেখায় পুলিশ। অন্যদিকে, ক্রমিক ‘ক’ এর ১৬নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, করোনাকালীন মাঠ প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে বাঘাইহাট জোনের একটি সেনা টহল উল্লেখিত তারিখে উক্ত এলাকায় গিয়ে সরকারী ঘোষণা অমান্য করে নির্ধারিত সময়ের পরেও দোকান খোলা রাখায় স্থানীয় বাবু চাকমাকে দোকান বন্ধ করে নিরাপদে বাড়ি চলে যাবার নির্দেশ প্রদান করে। এছাড়া দোকানের সামনে ক্রস চিহ্ন দিয়ে দোকান বন্ধ রয়েছে প্রচারণার উপদেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, ক্রমিক ‘খ’ এ উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে অভিযোগগুলোর বিষয়ে কোন সঠিক তথ্য প্রমান পাওয়া যায়নি। ক্রমিক ‘ঘ’ এর ১নং কলামে, উপস্থাপিত তথ্যের সঠিক কোন প্রমান না পাওয়া গেলেও ২নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার ৩০১ সরই মৌজা ও ৩০৩ নং ডরুছড়ি মৌজায় যথাক্রমে মেরিডিয়ান এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর ৩৫০০ একর ও লামা রাবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর ১৬০০ একর লিজকৃত জমি রয়েছে। গত ৮নভেম্বর ১৯৯৪ থেকে বর্ণিত কোম্পানী সমূহ ৪০ বছরের জন্য উক্ত জমি লিজ নিযে তাতে রাবার, ফলজ ও বনজ বাগান করে তা ভোগদখল করে আসছে। বর্ণিত লিজকৃত জমিতে মুরং সম্প্রদায়ের প্রায় ১৬টি পরিবার ভাসমান অবস্থায় টিনের ছাউনির ঘর করে বসবাস করছে। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, উক্ত মুরং সম্প্রদায়ের ঐ স্থানের জমির কোন বৈধ কাগজপত্র নেই। তবে তারা স্থানীয় হেডম্যান এর নিকট খাস জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার আবেদন করেছেন মাত্র। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান, কার্বারী ও সংশ্লিষ্ট মুরং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির সাথে আলোচনা করে জানা যায়, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি, উচ্ছেদ না হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও নিপীড়নের অভিযোগটি সত্য নয়। তাছাড়া মুরং সম্প্রদায়ের জমি বেদখলের অপপ্রচারটি মিথ্যা ও বানোয়াট। মূলতঃ মুরং সম্প্রদায়ের ঐ এলাকায় কোন জমি নেই। পক্ষান্তরে বর্ণিত কোম্পানি সমূহ ১৯৯৪ সাল থেকে সরকারের উপযুক্ত দপ্তর হতে বৈধ লিজের মাধ্যমে ৪০ বছরের জন্য উক্ত জমি ভোগদখলের স্বত্বাধিকারী। এছাড়া ক্রমিক ‘খ’ এর ৩নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার “কালু ম্রো পাড়া” নামের কোন পাড়ার অস্তিত্ব নেই। ১নং গজালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মারমা জানান, “কালু ম্রো পাড়া” নামের কোন পাড়া তার মৌজায় নেই এ বিষয়ে কোন অভিযোগও তার ইউনিয়ন পরিষদে কখনও গৃহীত হয়নি। এছাড়া ডলুছড়ি মৌজার স্থানীয় জনগণের কেউ উক্ত ঘটনা বা বাঁশ/গাছ কাটার অভতা ম্রো সম্প্রদায়ের জায়গা বেদখল সংক্রান্ত কোন তথ্যের সত্যতা প্রমান করতে পারেনি। ক্রমিক ‘খ’ এর ৪নং কলামে উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, বর্ণিত দুই বাঙ্গালী ব্যক্তির পিতা ১৯৭৯ সালে কর্তৃক নথি নং ১৮৬৭ এর মাধ্যমে ভোগদখলকৃত ৩একর জমিতে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বাঙ্গালী ব্যক্তি মোহাম্মদ আলী এবং আলী আহম্মদ এর ইন্ধনে উপজাতি ব্যক্তি নবীন চান বর্ণিত জায়গা তার দাবী করে। উল্লেখ্য, উপজাতির ব্যক্তির জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র থাকলেও নির্দিষ্টভাবে তার অধীনে কোন জমি নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে উক্ত বাঙ্গালী ব্যক্তির জমি দখলের প্রচেষ্টা চালায় বলে জানা যায়। ইতিপূর্বে আরো ৫ উপজাতি একই ভাবে বর্ণিত বাঙ্গালী ব্যক্তির জমি নিজেদের বলে দাবী করেছিলো বলেও জানা যায়।
এছাড়া প্রতিবেদনটির ক্রমিক ‘ঙ’ এ উপস্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়, বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বিমুং মারমাকে (৫০) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আরো উল্লেখ করা হয় যে, স্থানীয়দের সন্দেহ, ভূমি বেদখলকারী বহিরাগত ইজারাদারদের সেটেলার বা রোহিঙ্গারা ভূমি বেদখলের উদ্দেশ্যে বিমুং মারমাকে হথ্যা করেছে। প্রকৃতপক্ষে অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। উল্লেখিত বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আলম, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাব উদ্দীন ও মৃত বিমুং মারমার মামাতো ভাই মং চিংস মারমাসহ একাধিক স্থানওয়ি জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত হত্যার অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা। মৃত বিমুং মারমা দীর্ঘদিন ধরে হারনিয়া সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত ছিলেন, মাঝে মধ্যেই তিনি অজ্ঞান হয়ে যেতেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি এক স্থানীয় ভান্তের পরামর্শে পাহাড়বাসীকে উৎসর্গ করতে একটি শুকর শিকারের উদ্দেশ্যে মৃত্যুর ২ দিন আগে জঙ্গলে যান। কিন্তু এরপর দিনেও তিনি ফিরে আসেন নি। এছাড়া উক্ত ২দিন ঐ এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টিও হয়। ২দিন পর ২নং ওয়ার্ডের কিউ মারমার আকাশমনি বাগান সংলগ্ন পাহাড়ের ঢাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া বিমুং মারমার দেহে কোন আঘাতের চিহ্নও পায়নি পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
মূলতঃ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)র তথ্য ও প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগগুলোতে নিরাপত্তাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে জেএসএস ও সংগঠনটির প্রধান সন্তু লারমা দেশের সাধারণ জনগণের মাঝে সরকার ও নিরাপত্তাবাহিনীকে নিয়ে নেতিবাচক অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএসসহ আঞ্চলিক দলগুলোর সন্ত্রাসী কার্যক্রমগুলোর বিরুদ্ধে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযান পরিচালনা, সাধারণ পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার অভিপ্রায়ে নিজেদের স্বাভাবিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে বলেই কথিত মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশের নামে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পাহাড়ে বসবাসকারী নিরীহ বাঙ্গালীদের সম্পর্কে বিতর্কিত, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালীদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রয়াস চালাচ্ছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)।
জানা যায়, এসব মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অপপ্রচারমূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সরকার, সংবিধান অমান্য করে নিজেদের অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার মতো অপরাধ ঢাকতে এবং দেশের জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতেই এমন ঘৃন্য ষড়যন্ত্র করছে জেএসএস। প্রতিবেদনে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রকাশ এবং সংবিধান বিরোধী আদিবাসী শব্দের ব্যবহারসহ পাহাড়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালী বিদ্বেষ ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে মরিয়া জেএসএস (সন্তু)’র বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবী।
তথ্য সূত্র:
১। ipdpcjss.wordpress.com/2020/09/10/আগস্ট-২০২০-পার্বত্য-চট্ট/
২। https://southeastjournalbd.com/archives/11971