টেকনাফের উপকূলীয় বাহারছড়ায় অর্ধগলিত মহিলার লাশ উদ্ধার
নিউজ ডেস্কঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় বাহারছড়ায় নিখোঁজ দুই রাখালকে খুঁজতে গিয়ে এক অর্ধগলিত মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ৩০ এপ্রিল দুপুর আড়াই টারদিকে টেকনাফ বাহারছড়ার দক্ষিণ শীলখালী গ্রামের একদল মানুষ নিখোঁজ রাখাল স্থানীয় ছৈয়দ করিমের পুত্র মোঃ সেলিম উল্লাহ ও শহর মল্লিকের পুত্র আবুল কাশেমকে খুঁজতে চৌকিদার পাড়া গভীর পাহাড়ে যায়। পাহাড়ে গিয়ে বোরকা পড়া অবস্থায় এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ দেখতে পায় তারা। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে অবহিত করা হয়। তিনি এই বিষয়টি পুলিশে জানালে পুলিশ পাহাড়ে গিয়ে উক্ত মহিলার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, মহিলার অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করে বিকালেই পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল ছৈয়দ করিমের পুত্র মোঃ সেলিম উল্লাহ (১৫) ও শহর মল্লিকের পুত্র কাশেম (৫০) চরতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মহিষ খুঁজতে পাহাড়ে গেলে একদল স্বশস্ত্র পাহাড়ী দূর্বৃত্ত দলের খপ্পরে পড়ে। উক্ত দূর্বৃত্তদল এই রাখালদের জন্য স্থানীয় মেম্বারের নিকট মুক্তিপণ দাবী করে। অবশেষে এই রাখালদের উদ্ধারে গিয়ে লোকজন এই মহিলার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে অপর একটি গোপন সুত্রে জানা গেছে, রইক্ষ্যং পুটিবনিয়া ক্যাম্পে কিছু রোহিঙ্গা নারী বিভিন্ন এনজিও সংস্থায় চাকরী করে আসছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণকারী উগ্রপন্থী সংগঠন আরসা গ্রুপের লোকজন তাদের চাকরী না করার জন্য নিষেধ করে। উক্ত নারীরা নিষেধ অমান্য করে এনজিওতে চাকরী করার অপরাধে ৫/৬জন মহিলাকে গভীর রাতে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যায়। অপহৃতের পরিবার ও স্বজনেরা প্রাণের ভয়ে উক্ত সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেনা। উদ্ধারকৃত মহিলার অর্ধগলিত লাশটি অপহৃত যেকোন রোহিঙ্গার মহিলার হতে পারে বলে ধারনা করছে স্থানীয়রা।