আজ থেকে কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ-বিপনন নিষিদ্ধ - Southeast Asia Journal

আজ থেকে কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ-বিপনন নিষিদ্ধ

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্কঃ

আজ ১লা মে থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বিপনন বন্ধ হতে চলেছে।

এ লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সভায় জানানো হয় পহেলা মে থেকে আগামী ৩১শে জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকিবে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের ঘোষণা প্রদান করেন।

সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ একে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার মো: আসাদুজ্জামান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম শফি কামাল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের প্রধান মৎস্য উৎপাদন কেন্দ্র রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কাপ্তাই হ্রদে এলাকায় সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ বাজারজাতকরণ, শুকানো ও পরিবহণ সম্পন্ন নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ যদি এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। একই সাথে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদ মৎস্য উন্নয়ন ও বিপণন কেন্দ্রের সকল কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, রাঙামাটির পুলিশ বাহিনী কর্তৃপক্ষ।

এসময় রাঙামাটি ও কাপ্তাই হ্রদ সংশ্লিষ্ট্য সকল বরফ কলও বন্ধ থাকবে। একই সাথে নির্ধারিত অভায়াশ্রম সব সময়ের জন্য মৎস আহরণ পূর্বের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে বন্ধকালীন সময় বেকার মৎস্যজীবীদের জন্য খাদ্যশষ্য প্রদান করা হবে।

কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা বন্ধকালীন সময়ে যাতে করে কোনো অসাধু চক্র মাছ ধরতে বা বিক্রি করতে নাপারে সেই লক্ষ্যে রাঙামাটিবাসীর সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেছেন তিনি।