মার্কিন বাহিনীর ওপর চীনের হামলার চেষ্টা - Southeast Asia Journal

মার্কিন বাহিনীর ওপর চীনের হামলার চেষ্টা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে চেয়েছিল চীন। তবে সরাসরি নয়; বরং এজন্য জঙ্গিদের অর্থ সহায়তা দিতে চেয়েছিল তারা। গত ১৭ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষয়টি নিয়ে অবহিত করে পেন্টাগন। তবে ট্রাম্প এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। চীন ঠিক কাদের টাকা দিতে চেয়েছিল সেটিও স্পষ্ট নয়। করোনার সময় থেকে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। ট্রাম্প প্রকাশ্যে চীনের বিরোধিতা করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, জো বাইডেন ক্ষমতায় এলে বেইজিং-এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খানিকটা ভালো হতে পারে। তার মধ্যেই মার্কিন বাহিনীর ওপর চীনের হামলা চেষ্টার খবর সামনে এলো। পেন্টাগন সূত্র জানিয়েছে, আফগানিস্তানে অবস্থিত মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে চেয়েছিল চীন। তবে সরাসরি নয়। এই কাজে আফগান জঙ্গিদের ব্যবহার করতে চেয়েছিল তারা। সেজন্য তাদের অর্থও দিতে চেয়েছিল। এই মুহূর্তে আফগানিস্তানে প্রায় দুই হাজার মার্কিন সেনা আছে। ন্যাটোর বাহিনীর সঙ্গে তারা কাজ করছে।

২০২০ সালের নভেম্বরে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এই সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ন্যাটো অবশ্য এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিনজিয়াং প্রদেশে চীনের সঙ্গে আফগানিস্তানের ছোট সীমান্ত আছে। চীন বরাবরই চায় ওই সীমান্তের মাধ্যমে আফগানিস্তানে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে।

জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের বসবাস। সেখানকার প্রায় দশ লাখ মুসলিমকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক রাখায় বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মধ্যে রয়েছে চীন। বেইজিং-এর বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের বলপূর্বক দাসে পরিণত করার অভিযোগ করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি। চীনের ধারণা, আফগানিস্তান সীমান্ত থেকে জিনজিয়াং সীমান্ত অঞ্চলে চীনের ওপর নজরদারি চালায় মার্কিন বাহিনী। ফলে অনেক দিন ধরেই বেইজিং-এর দাবি, যুক্তরাষ্ট্রকে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। চীন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র একটি মঞ্চ শেয়ার করে। সেখানেও আফগানিস্তান প্রসঙ্গে আলোচনা হয়। চীন একাধিকবার সেখানে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরানোর দাবি জানিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বক্তব্য, মূলত বাইরের দুনিয়ার কাছে জিনজিয়াং-এর পরিস্থিতি গোপন রাখতেই আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে চেয়েছিল বেইজিং। ট্রাম্পের কাছে এই খবর দেওয়া হলেও বাইডেনকে তা জানানো হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে চীন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন কোনও নীতি নেয় কি না, তাও দেখার বিষয়।