ইরফান সেলিমকে অস্ত্র-মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ পুলিশের - Southeast Asia Journal

ইরফান সেলিমকে অস্ত্র-মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ পুলিশের

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

র‍্যাবের অভিযানে গ্রেফতার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিমকে অস্ত্র ও মাদক মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। দেড় মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত শেষে সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে চকবাজার থানা পুলিশ সিএমএম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দেয়।

ইরফানকে অব্যাহতির বিষয়ে ডিএমপির উপকমিশনার ওয়ালিদ হোসেন জানান, ইরফানের কাছে থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র ও মাদকের মালিক কে তা স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। একইসঙ্গে এজাহারে থাকা সাক্ষীরা কেউই ইরফানের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দেননি। ডিএমপির উপকমিশনার আরও বলেন, র‍্যাবের অভিযান বড় কথা নয়, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকাতেই তাকে ২ মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে পুলিশ। ইরফানের রুম থেকে মাদক পাওয়া গেলেও, সেগুলো শত্রুতা করে অন্য যে কেউ রেখে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ওয়ালিদ হোসেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার একটি মামলা হয়। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, হাজি সেলিমের মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত আরও দুই তিন জন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৫ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওয়াসিফ আহমদের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় হাজি সেলিমের গাড়ি। ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে পেছন পেছন এলে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজি সেলিমের গাড়ি থেকে দুই-তিন জন ব্যক্তি নেমে ওয়াসিফ আহমদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে গালাগাল করে ও হুমকি দেয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার ও গাড়ি জব্দ করে।

পরে ২৬ অক্টোবর মামলা দায়েরের পর সেদিন দুপুরে র‌্যাব পুরান ঢাকায় চকবাজারের ২৬, দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র‌্যাব হাজি সেলিমের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুই জনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।