খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে পর্নোগ্রাফি মামলার কয়েদির আত্মহত্যা

নিউজ ডেস্ক
খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে মিলন বিকাশ ত্রিপুরা নামের এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২৮ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ির জেলা কারাগারের আইসোলেশন ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মিলন ত্রিপুরা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অরুন পাড়া এলাকার মনসারাই ত্রিপুরার ছেলে। তিনি গুইমারা থানায় দায়ের করা একটি পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি হয়ে কারাগারে ছিলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার মো. দিদারুল আলম জানান, আসামি মিলন সকালে কারাগারের আইসোলেশন সেন্টারের টয়লেটে যান। কিন্তু দীর্ঘসময় পরেও টয়লেট থেকে বের না হওয়ায় অন্য আসামিরা সেখানে গিয়ে টয়লেটের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে মিলনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রশিদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। এই ঘটনায় জেল সুপার বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেল সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নিবার্হী মেজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, তিনি গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মে খাগড়াছড়ির গুইমারা থানায় দায়ের করা একটি পর্নোগ্রাফি মামলায় আটক করা হয় মিলন বিকাশ ত্রিপুরাকে। পরের দিন ১৭ মে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।