আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস - Southeast Asia Journal

আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। বঙ্গবন্ধুর এই কর্মসূচি ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তির সনদ। পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরু থেকেই ঔপনিবেশিক শোষণ থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রের বৈষম্য চিহ্নিত করে, ছয় দফা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। এর মধ্য দিয়েই বাংলার জাতীয় মুক্তির চেতনার উন্মেষ।

নানা বঞ্চনা-নিপীড়নের পর পয়ষট্টির ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অরক্ষিত হয়ে পড়ে পূর্ব বাংলা। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোর কনভেনশনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ঐতিহাসিক ছয় দফা উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তাতে পাকিস্তানকে ফেডারেশন করার পাশাপাশি বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা ছাড়া সব বিষয় প্রদেশের হাতে ন্যস্ত করার দাবি করা হয়। রাখা হয় পূর্ব ও পশ্চিমের জন্য পৃথক মুদ্রাব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব। প্রদেশগুলোর শুল্ক ধার্যের ক্ষমতাসহ অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা স্ব স্ব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবিও ছিল ছয় দফায়। ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিতে আধা সামরিক বাহিনী গঠনের প্রস্তাব।

তবে ওই কনভেনশনে আলোচনার জন্য তা গৃহীত না হওয়ায় ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে প্রথম ছয় দফা ব্যাখ্যা করেন বঙ্গবন্ধু।

ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ছয় দফা আন্দোলনের তিন মাসে আটবার গ্রেপ্তার হন শেখ মুজিবুর রহমান। সে বছরের ৭ জুন ছয় দফার প্রতি সমর্থন ও বঙ্গবন্ধুসহ গ্রেপ্তার অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের ডাকে পূর্ব বাংলায় পালিত হয় ধর্মঘট। তাতে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে নিহত হন ১৩ জন। এর পর পরই ছয় দফা হয়ে উঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।

৬৮তে বঙ্গবন্ধুকে এক নম্বর আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে আয়ুব সরকার। বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলাকালে হয় ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। মুক্তির পর বাঙালিল অবিসংবাদিত নেতা হয়ে ওঠেন বঙ্গবন্ধু। ছয় দফার সূত্র ধরেই একাত্তরের মুক্তিযু্দ্ধ, জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।