চীনকে ন্যাটোর হুঁশিয়ারি, পাল্টা হুঁশিয়ারি চীনের

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একদিনের ন্যাটো সম্মেলনের বৈঠকে চীনের কারণে সৃষ্ট সামরিক হুমকির বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্বনেতারা। জবাবে ‘সবকিছু অতিরঞ্জিত দৃষ্টিতে দেখে তিক্ততা উ্সকে দেয়ার’ অভিযোগ করেছে বেইজিং। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচির পরিধি বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ন্যাটোভুক্ত রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা।

১৫ জুন মঙ্গলবার ব্রাসেলসের বৈঠকে তারা বলেন, চীনের আচরণ ‘পদ্ধতিগত চ্যালেঞ্জ’ ছুঁড়ে দিয়েছে। নিজেদের সামরিক আধুনিকায়ন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিচ্ছে না দেশটি। তারা রাশিয়াকে সামরিকভাবে সহযোগিতা করছে।

ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেন, সামরিক ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে ন্যাটোর অবস্থানের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে চীন। তবে চীনের সঙ্গে নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ জোট চায় না বলেও জোর দেন তিনি। যৌথভাবে দেয়া বিবৃতিতে ন্যাটো নেতারা বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি, মহাকাশে প্রভাব বিস্তার ও সাইবারযুদ্ধের সক্ষমতা বাড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন। এটি বিশ্বে শান্তি রক্ষার পরিপন্থি। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের চীনা মিশন থেকে দেয়া বিবৃতিতে চীনের উন্নয়ন স্বাভাবিকভাবে নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, তথ্য অতিরঞ্জিত করে চীনের হুমকির কথা বলে একের পর এক ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্ম দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চীনের বৈধ স্বার্থ ও অধিকারকে আঞ্চলিক রাজনীতির কূটচালে ব্যবহার করা হচ্ছে, যা কেবল বৈরিতা বাড়াবে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ন্যাটোর অভিযোগ চীনের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে অবমাননার শামিল। এটি স্নায়ুযুদ্ধ অব্যাহত রাখবে। এর আগে যুক্তরাজ্যে চীনের দূতাবাস থেকে জি সেভেন জোটভুক্ত দেশগুলোর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক কূটচালে’র অভিযোগ তোলা হয়।

এদিকে, এই ঘটনায় ন্যাটোকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। বেইজিংকে হুমকি দেয়ার মাধ্যমে ফাঁকা মাঠে অহেতুক উত্তেজনা না বাড়াতে চীন ন্যাটোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে চীনা মিশন জানিয়েছে, বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা ও সামরিক আধুনিকায়নের বিষয়টি পুরোপুরি ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, চীনের প্রতিরক্ষানীতি স্বচ্ছ ও উন্মুক্ত।

ন্যাটোকে বেইজিংয়ের বিষয়ে আলোচনা বাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যে আরও কার্যকর আলাপ করার তাগিদ দিয়েছে চীন। এক বিবৃতিতে চীন জানিয়েছে, ন্যাটোর উচিত বেইজিংয়ের সার্বিক উন্নয়নকে যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা বন্ধ করা। একই সঙ্গে চীনের সার্বিক উন্নয়নে ন্যাটোকে ঈর্ষান্বিত না হওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।