ইসরায়েলে নেতানিয়াহু যুগের অবসান, নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনেট

নিউজ ডেস্ক
অবসান হলো ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দীর্ঘ ১২ বছরের শাসনের। রোববার ভোটের মাধ্যমে নতুন সরকারের অনুমোদন দেয় দেশটির পার্লামেন্ট। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আটদলীয় জোটের নেতা নাফতালি বেনেট। দুই বছরের জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন বেনেট। প্রধানমন্ত্রী মেয়াদের বাকি দুই বছর দায়িত্ব পালন করবেন জোটের অপর নেতা ইয়াইর লাপিড।
বিবিসি প্রতিবেদনের তথ্য মতে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারসহ লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমাতে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন নাফতালি বেনেট।
গতকাল রোববার দেশটির পার্লামেন্ট নেসেটে আস্থাভোটে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ১২ বছরের শাসনের অবসান ঘটলো। নেতানিয়াহুবিরোধী সরকার ১২০ আসনের পার্লামেন্টে মাত্র এক আসনে এগিয়ে সরকার গঠন করছে। এর মধ্য দিয়ে শুধু নেতানিয়াহুর শাসনের অবসান নয়, দুই বছরে চারটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া ইসরাইলের চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটলো।
জোটের শর্ত অনুসারে, ইয়ামিনা পার্টির নেতা নাফতালি বেনেট ২০২৩ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশ পরিচালনা করবেন। এরপর তিনি ইয়েশ আতিদ পার্টির নেতা ইয়াইর লাপিদের কাছে বাকি দুই বছরের জন্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী লিকুদ পার্টির প্রধান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে পার্লামেন্টে থাকছেন।
রোববার জেরুসালেমে নেসেটে আস্থা ভোটে মাত্র একটি ভোট কম পেয়ে পরাজয়ের পর নাফতালি বেনেটের কাছে গিয়ে তার সঙ্গে হাত মেলান নেতানিয়াহু। ১২০ সদস্যের মধ্যে ৬০ জন নতুন জোটে আস্থা রাখেন আর ৫৯ জন ছিলেন নেতানিয়াহুর পক্ষের। বাকি একজন নেসেটে অনুপস্থিত ছিলেন। নেতানিয়াহু পরে বক্তৃতায় দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে বলেন, ‘আমরা আবার ফিরে আসব।’
৪৯ বছর বয়সী নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, ‘আজ কোনো শোকের দিন নয়। গণতন্ত্রে একটি সরকারের পরিবর্তন হয়েছে শুধুমাত্র, এতটুকুই। আজ রাতে যারা বিজয় উদযাপন করবেন, আমি তাদেরকে বলব, অন্যের বেদনার দিনে উল্লাস নৃত্য করবেন না। আমরা একে অপরের শত্রু নই, আমরা এক জনগোষ্ঠী।’ গত ২ জুন ইসরায়েলের রাজনীতিতে নতুন যুগের সূচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে সরাতে আটটি দল জোট গঠনে ঐক্যবদ্ধ হয়। সময়সীমা শেষের আধা ঘণ্টা আগে তারা তাদের ঐক্যমতের নথি জমা দেন।