চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি, ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর - Southeast Asia Journal

চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি, ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

একই সঙ্গে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে ২৩ জুলাই ভোর থেকে শিল্প-কারখানাও আবার বন্ধ থাকবে বলে নির্দশেনা দেয়া হয়।

এর আগে, সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, পশু ব্যবসায়ী, দোকান মালিক ও ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের কথা চিন্তা করা হচ্ছে। প্রজ্ঞাপনে বিষয়গুলো পরিষ্কার করা হবে বলে জানান তিনি। ঈদের সময় গরু ব্যবসায়ী, দোকান মালিকদের কথা বিবেচনা করেই সরকার চলমান বিধিনিষেধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহনও চলবে। এরই মধ্যে রেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিদিন ৫০ ভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। এছাড়া খুলে দেয়া হবে দোকানপাট, শপিং মল। তবে ২৩ জুলাই থেকে আবারো কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হবে বলে জানিয়েছে তথ্য অধিদপ্তর।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। প্রথমে ৭ জুলাই পর্যন্ত তা থাকলেও পরে তা আরো এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়, যা আগামী বুধবার (১৪ জুলাই) শেষ হওয়ার কথা।

চলমান বিধিনিষেধে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, শপিং মল, মার্কেটসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহনসহ সব ধরনের যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা আছে। এ রকমভাবে মোট ২১ ধরনের বিধিনিষেধ চলছে।