রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজাতে হবে- জেলা প্রশাসক - Southeast Asia Journal

রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাজে লাগিয়ে পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজাতে হবে- জেলা প্রশাসক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে রাঙামাটির পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঢেলে সাজাতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, রাঙামাটি অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পরিকল্পনার অভাবে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ব্র্যাকের উদ্যোগে আয়োজিত পর্যটন খাতে দক্ষকর্মী ও কর্মসংস্থান বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, রাঙামাটি অঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অর্থনৈতিকভাবে বিরাট ভূমিকা রাখছে। কারণ প্রতিবছর বিভিন্ন মৌসুমে রাঙামাটিতে দূর-দূরান্ত থেকে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসে পাহাড়ি জনপদের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। যার কারণে হোটেল-মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রের মালিকরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। কিন্তু সেভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলো উন্নয়ন হচ্ছে না। এখনো আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে। পর্যটন খাতে অর্থনৈতিক গুরুত্ব বাড়াতে হলে অবশ্যই পর্যটন কেন্দ্রগুলো যত্মবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. আল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা, যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান, চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ব্র্যাক আঞ্চলিক পচিালক মো. মশিউর রহমান, রাঙামাটির জেলা ব্র্যাক কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটির জেলা ব্র্যাক কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, পর্যটন খাতে দক্ষ কর্মী ও কর্মসংস্থান গড়তে ব্র্যাক কাজ করে যাচ্ছে। পার্বত্যাঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীদের পর্যটন খাতে দক্ষতা বৃদ্ধি লক্ষে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ৪ মাসব্যাপী আয়োজিত এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নারী কর্মীদের এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। প্রশিক্ষণের পর এসব কর্মীদের পর্যটনের বিভিন্ন স্থানে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণ প্রাপ্তি কর্মীরা যেকোনো পর্যটন সেক্টরে কাজ করতে সক্ষম হবে। তার জন্য ব্র্যাকের পক্ষে থেকে সহযোগিতা করা হবে। এ আলোচনা সভায় রাঙামাটির বিভিন্ন হোটেল-মোটেল মালিক-কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।