ডেঙ্গু আক্রান্তের ৪৯ ভাগই ২০ বছরের নিচে - Southeast Asia Journal

ডেঙ্গু আক্রান্তের ৪৯ ভাগই ২০ বছরের নিচে

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে রোগী কিছুটা কমলেও নতুন ধরনের কারণে প্লাটিলেট দ্রুত কমায় বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। আর এই ডেঙ্গু আক্রান্তের ৪৯ শতাংশই ২০ বছরের নিচে। শিশুরা বেশি আক্রান্ত হওয়ায় অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, জ্বর হওয়ার ৩ দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করা উচিত।

আগস্ট মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ৬ শত ৯৮ জন। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ৬ হাজার ৩ শো ৪৯ জন। ডেঙ্গুর নতুন ধরনে রোগী শক সিনড্রোমে চলে যায়। দ্রুত রক্তক্ষরণ ও শরীরে পানি শূন্যতার কারণে অচেতন হয়ে পড়ে। এতে বিপদ দেখছেন চিকিৎসকরা।

ঢাকা শিশু হাসপাতাল, সেন্ট্রাল, মিটফোর্ড, ঢাকা মেডিকেলসহ অন্যান্য হাসপাতালের তথ্য বলছে, আক্রান্তদের ২৭ শতাংশের বয়স ১ থেকে ১০ বছর। তাই শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের বাড়তি যত্ন নেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

আগস্টে ডেঙ্গুতে মারা যায় ৩৪ জন, আর এ মাসে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ বছরে মোট মৃত্যু ৫৯ জনের। চলতি মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমলেও নভেম্বরে বাড়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।

ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ। গত এক মাসে ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষ। মোট রোগীর সাড়ে পাঁচ (৫ দশমিক ছয়-নয়) শতাংশই ঢাকার বাইরের। রাজধানীর বাইরে ডেঙ্গু আক্রান্তের এই হার আশঙ্কাজনক বলছেন চিকিৎসকেরা। বেশির ভাগ রোগীই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসা নেয়ায় বাড়ছে ঝুঁকিও।

এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ছাড়িয়েছে ১৬ হাজার। প্রতিদিনের পরিসংখ্যান জানান দিচ্ছে এই রোগের প্রকোপ থাকবে সামনের মাসেও। ২০১৯-এর পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি এবার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গেলো এক মাসে সাড়ে ৮ হাজার ডেঙ্গু আক্রান্তের বিপরীতে রাজধানীর বাইরের রোগী দেড় হাজারের বেশি। স্থানীয় পর্যায়ে উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেকেই হচ্ছেন ঢাকামুখী।

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই নিচ্ছেন স্যালাইন। যার কারণে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। জ্বর হলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ তাদের।