নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা নারীরা - Southeast Asia Journal

নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে রোহিঙ্গা নারীরা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিক্তিক নারীদের অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চলতি বছর বিভিন্ন অবৈধ কাজে গ্রেফতার হওয়ার হারও গত তিন বছরের তুলনায় অনেক বেশি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৯ জন নারীকে আটক করা হয়েছে। গত বছর ৫৯ জন রোহিঙ্গা নারীকে বিভিন্ন অপরাধে আটক করা হয়।

এর আগে ২০১৯ সালে ৩৯ এবং ২০১৮ সালে ৩০ রোহিঙ্গা নারী গ্রেফতার হয়েছিল। বর্তমানে বিভিন্ন অপরাধে জেলে আছে ৭৫০ রোহিঙ্গা।

কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, আমাদের চেষ্টা থাকে যাতে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ড না ঘটে। তবে সম্প্রতি সময়ে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে পুরুষদের মতো গ্রেফতার হচ্ছে নারীও।

একজন শরণার্থী এবং অভিবাসন বিষয়ক বিশ্লেষক বলেন, একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে কোনো শরণার্থী নারী কতটা ক্ষমতা রাখে তা সহজেই অনুমেয়। রোহিঙ্গা নারী এখানে মূলত অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভিকটিম (আক্রান্ত) হচ্ছে। তাকে কেউ একজন ব্যবহার করছে। হয়ত প্রভাবশালী কোনো মহল বা তার নিজের স্বামী।

অপরাধীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জানিয়ে অপরাধ বিজ্ঞানী ড. ওমর ফারুক বলেন, কৌশলগত জায়গা থেকেই তারা নারীদের বেছে নেয়। তাদের যত দ্রুত অপরাধে জড়ানো সম্ভব, একজন পুরুষের সেটা সম্ভব নয়।

মাদক বহনকারী হিসেবে বহুল ব্যবহৃত এসব শরণার্থী নারীরা এখন অপহরণের মতো অপরাধেও জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের হাতে সম্প্রতি আটক হওয়া এমন কয়েকজনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, তাদের মতো শতাধিক নারী বর্তমানে এ কাজে সক্রিয়। মাদক বহনকারী হিসেবে রোহিঙ্গা নারীদের ব্যবহারও থেমে নেই। তারা অর্থ ও আরেকটু উন্নত জীবন যাপনের লোভে মালয়েশিয়া, মধ্য প্রাচ্যে, ভারত ও দেশের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে কেউ বিয়ের প্রলোভনে পড়ছে,কেউ আবার দেহ ব্যবসায় জড়াচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার নেচার আলম জানান, কারাগারে রোহিঙ্গা কয়েদি ও হাজতির সংখ্যা ৬৫৪ জন এর মধ্যে রোহিঙ্গা নারী রয়েছেন ৮৯ জন। এসব রোহিঙ্গা নারীদের অপরাধের ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা। দেহ ব্যবসা থেকে শুরু করে মাদক কেনাবেচা, মানব পাচার, অপহরণ, চুরি জাল টাকার ব্যবসা ও ইয়াবা পরিবহনের মতো জঘন্য অপরাধ ছাড়া হুন্ডি ব্যবসায়েও জড়িত।