সামরিক জান্তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় আসিয়ানকে স্বাগত, বন্দিদের মুক্তির আহ্বান - Southeast Asia Journal

সামরিক জান্তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় আসিয়ানকে স্বাগত, বন্দিদের মুক্তির আহ্বান

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

আসিয়ান সম্মেলনে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে আমন্ত্রণ না জানানোর অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পাশাপাশি অভ্যুত্থানের পর যেসব মানুষকে আটক করে জেলে রাখা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে সামরিক জান্তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাইডেন ও ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে চলমান জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনের এক ফাঁকে এই দুই নেতার মধ্যে সাক্ষাত হয়। এ সময় তারা মিয়ানমারে সব রকম সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানান।

এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। হোয়াইট হাউজের মতে, তারা মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সামরিক জান্তা সহিংসতা বন্ধ করবে, সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেবে এবং দ্রুত গণতন্ত্রে ফিরে যাবে বলে তারা একমত পোষণ করেন। গত মাসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন আসিয়ানের বার্ষিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে।

এ জন্য আসিয়ান যে অবস্থান নিয়েছে, তার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন জো বাইডেন। গত ১লা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা কেড়ে নেয়ায় সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে পুরো দেশে সহিংসতা এবং গণ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন অ্যাসিসট্যান্স এসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) প্রকাশিত সর্বশেষ ডাটা অনুযায়ী এই অভ্যুত্থানের পর হত্যা করা হয়েছে কমপক্ষে ১২২৯ মানুষকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কমপক্ষে ৯৫০০ মানুষকে।

এছাড়া বিক্ষোভকারীদের প্রহার করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৩১ জন নির্যাতনে নিহত হয়েছেন। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে সামরিক বাহিনী এবং বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর মধ্যে। এর ফলে এক ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জীবন বাঁচাতে তাই থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিল রিচার্ডসন মিয়ানমারে ব্যক্তিগত সফরে যাওয়ার কথা। তার এ উদ্যোগকে সোমবার স্বাগত জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। একে দেখা হচ্ছে মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা দ্রুততর করার সম্ভাব্য উপায় হিসেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রিচার্ডসন নিজে থেকেই এই সফরে যাচ্ছেন। তবে আশা করা হচ্ছে, তার সফরে মিয়ানমারের নেতাদের বোঝাতে সক্ষম হবেন যে, করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে সহায়তা এবং অন্য গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ খুব প্রয়োজন। মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা আছে গভর্নর রিচার্ডসনের।

এখানে উল্লেখ্য, জাতিসংঘে সাবেক এই মার্কিন দূত বর্তমানে নিউ মেক্সিকোর গভর্নর। তিনি রবিবার ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি করোনা মহামারিতে সহায়তা দেয়া নিয়ে মিয়ানমার সফরে আসছেন। তার ভাষায়, এমন সঙ্কট ও অস্থিতিশীলতার সময়ে, আমাদেরকে অবশ্যই মানবিক সহায়তা সরবরাহ দিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেছেন, তার দ্য রিচার্ডসন সেন্টারের দীর্ঘ ইতিহাস আছে মিয়ানমারের সঙ্গে যুক্ত থাকার। তবে তিনি পরিকল্পিত সফরের সময়ে সামরিক অভ্যুত্থানের বিষয়ে আলোচনার কোনো ঘোষণাই দেননি।