কাবুলে হাসপাতালে হামলায় তালেবান কমান্ডার নিহত
নিউজ ডেস্ক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি সামরিক হাসপাতালে হামলার ঘটনায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে তালেবানের একজন শীর্ষ কমান্ডারও রয়েছেন। মঙ্গলবার আইএসের চালানো আত্মঘাতী বোমা ও বন্দুক হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বুধবার (৩ নভেম্বর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাবুলের প্রধান সামরিক হাসপাতালে মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন।
নিহত তালেবান কমান্ডারের নাম হামদুল্লাহ মোখলিস। তিনি কট্টরপন্থি হাক্কানি নেটওয়ার্কের সদস্য ও বদরি পুলিশের স্পেশাল ফোর্সের একজন কর্মকর্তা। তালেবান কাবুল দখল করার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হওয়া সবচেয়ে সিনিয়র ব্যক্তি তিনি।
তালেবানের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা জানান, সরদার দাউদ খান হাসপাতালে হামলার কথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আমরা তাকে সেখানে যেতে নিষেধ করলে তিনি হাসছিলেন। পরবর্তী সময়ে আমরা জানতে পারি তিনি হামলাকারীদের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে নিহত হন।
হামলার দায় স্বীকার করে টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আইএসের খোরাসান শাখা (আইএস-কে) জানিয়েছে, পাঁচটি গ্রুপ একযোগে সমন্বিত হামলা চালিয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, দ্রুত হস্তক্ষেপের কারণে ১৫ মিনিটের মধ্যে হামলা থামানো সম্ভব হয়েছে।
তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তানে আইএসের হামলা-সহিংসতা বেড়ে গেছে। দেশটির নতুন শাসক গোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিরা। এতে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু নিরীহ মানুষ।
বিগত ২০ বছর মার্কিন-সমর্থিত আফগান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ ধরনের স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়েছে তালেবান। এখন সেই কৌশলেই তাদের ক্ষতি করতে চাচ্ছে আইএস।
চলতি বছরের ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেয় তালেবান। এরপর থেকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয় দেশটিতে। তালেবান নতুন সরকার গঠন করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি আফগানিস্তানের। ভেঙে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। চরম খাদ্য সংকটে আফগান নাগরিকরা। এর মাঝেই ঘটছে হামলার ঘটনা। ফলে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে সাধারণ মানুষ।