কলম্বিয়ায় বিদ্রোহীদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২৩ - Southeast Asia Journal

কলম্বিয়ায় বিদ্রোহীদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ২৩

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কলম্বিয়ায় বিদ্রোহীদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, ভেনেজুয়েলার লাগোয়া কলম্বিয়া সীমান্ত অঞ্চলে দুই বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী দিয়েগো মোলানো স্থানীয় সময় সোমবার (২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খবর আল-জাজিরার।

সপ্তাহব্যাপী দেশটির আরাউকা অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির (ইএলএন) সদস্য ও রেভল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া (ফার্ক) সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়, যারা ২০১৬ সালের শান্তি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছিল। পাঁচ দশকের দ্বন্দ্ব সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিল এই শান্তি চুক্তি। ইএলএন হচ্ছে কলম্বিয়ার সবচেয়ে বড় সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতি অনুযায়ী, মাদক চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন অব্যাহত রাখতে সংঘর্ষে জড়ায় বিদো্রহী গোষ্ঠীগুলো।

কলম্বিয়ার একটি মানবাধিকার সংগঠন এর আগে জানায়, সহিংসতায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন এবং ডজনখানেক লোককে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

ওমবাডসম্যান সংগঠনটির কার্যালয় থেকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। আরাউকা অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকির মধ্যে পড়ে বলছে তারা। ২০২১ সালের শুরুতে ওই অঞ্চলে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যায়। সীমান্ত এলাকার সাধারণ নিরীহ মানুষদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

জুয়ান কার্লোস ভিলেতে, একজন সরকারি কর্মকর্তা যিনি আরাউকার মানবাধিকার বিষয় নিয়ে কাজ করেন, সোমবার সকালে স্থানীয় ডব্লিউ রেডিও স্টেশনকে তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যা ৫০ হতে পারে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে এই অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ দেখেছেন তিনি।

আরাউকার মেয়র এতেলিভার টরেস ভার্গাস এক বিবৃতিতে বলেন, স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান দুক বলেছেন, সহিংসতা খবর জানার পর নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে। আরাউকাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথাও জানান তিনি।

কলম্বিয়া দক্ষিণ আমেরিকার উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত। বিশ শতকের মধ্যভাগে গৃহযুদ্ধ কলম্বিয়ার সমাজব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। বামপন্থী গেরিলা ও আধা-সামরিক বাহিনী এবং কলম্বিয়ার সেনাবাহিনীর মধ্যে দেশের গ্রামাঞ্চলের দিকে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ধনী শিল্পোন্নত দেশগুলোতে মাদকদ্রব্যের, বিশেষত কোকেনের চাহিদার ফলে কলম্বিয়াতে অবৈধ মাদক চোরাচালান বহুগুণ বেড়ে যায়। মাদক চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সহিংসতার ঘটনা ঘটে দেশটিতে। সহিংসতার কারণে প্রাণ যায় বহু সাধারণ মানুষের।