মিয়ানমারের পাহাড়ে লুকিয়ে আছেন আরসা প্রধান: শাহ আলী
নিউজ ডেস্ক
উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও পাহাড়ে দলবলসহ মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) একটি গ্রুপের প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির ভাই মো. শাহ আলীকে দেড় মাস অবস্থানের পর পুলিশী তৎপরতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৬ জানুয়ারি) ভোরে অস্ত্র ও মাদকসহ উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নৌকার মাঠ এলাকা থেকে শাহ আলীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনির অবস্থান ও তার পরিকল্পনার বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছে শাহ আলী।
শাহ আলী জানায়, আতাউল্লাহ এখন মিয়ানমারের একটি পাহাড়ে পালিয়ে আছে।
আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি কোন পাহাড়ে অবস্থান করছেন সে সম্পর্কেও ধারণা পেয়েছে পুলিশ। তবে আরও জানার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়েন্দারা জানান, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধের কথা বলে চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ আদায় করাই ছিল শাহ আলীর অন্যতম দায়িত্ব। আরসা প্রধান আতাউল্লাহর সঙ্গে শাহ আলীর নিয়মিত যোগাযোগ আছে। শাহ আলী মিয়ানমারেই বেশি সময় থাকে। বিশেষ ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
তিন বছরে পাঁচ শতাধিক আরসা সদস্য গ্রেপ্তার-
গত তিন বছরে ৫ শতাধিক আরসা সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন-১৪। তবে গ্রেপ্তারের পর এসব সদস্য বিভিন্ন এনজিও সংস্থার আইনি সহায়তায় জামিন পেয়ে যায়। যদিও পুলিশ সদস্যরা এসব গ্রেপ্তারকৃতদের ‘আরসা সদস্য’ বলে দাবি করছেন।
কক্সবাজারের ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক বলেন, শাহ আলীকে গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়েছে। তাকে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনায় লিপ্ত ছিল সে। আমরা তার কাছ থেকে আরসা প্রধানের কিছু তথ্য পেয়েছি।