খাগড়াছড়িতে চা বাগানের অফিস ভেঙ্গে বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণের চেষ্টা ইউপিডিএফের
![]()
নিউজ ডেস্ক
পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন প্রসীত বিকাশ খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ ও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস কর্তৃক সরকারী খাস ভূমি, পরিত্যাক্ত সেনা ক্যাম্পের জায়গা কিংবা বাঙ্গালীদের ব্যক্তিগত ভূমি দখল করে বাড়িঘর নির্মান, সন্ত্রাসী আস্তানা গড়ে তোলা ও ধর্মীয় উপাসনালয় নির্মান করে নানা ভাবে সেখানকার পরিবেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের গরুকাটা নামক স্থানে চা বাগানের অফিস ঘর ভেঙ্গে অবৈধভাবে বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, পাতাছড়ার গরুকাটাস্থ রুপাইছড়ি চা বাগানের মালিকানাধীন জায়গায় অবস্থিত অফিস ঘরটি ভেঙ্গে পাহাড়ের আঞ্চলিক দল ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সহায়তায় বহিরাগত কিছু উপজাতীয় লোকজন বৌদ্ধ মন্দির নির্মাণ করার কাজ চালায়।
রুপাইছড়ি চা বাগানের ব্যবস্থাপক শেখ সাদি জানান, গত চারদিন আগে বহিরাগত কিছু লোকজন বাগানের অফিস ঘরটি ভেঙ্গে ঐ জায়গায় নতুন করে বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করে। বাগানের কেয়ারটেকার বাঁধা দিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়।
তিনি আরো জানান, এর আগেও বাগানের জায়গায় একদল উপজাতীয় লোক ঘর নির্মাণ করতে গেলে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের উচ্ছেদ করা হয়।
পরবর্তীতে, চা বাগানটির মালিকপক্ষ বিষয়টি রামগড়স্থ ৪৩ বিজিবিকে অবহিত করে এবং একটি অভিযোগ দেয়। এরপর সেখানে গিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ঘর তৈরীর কাজে থাকা লোকজনকে ঘর নির্মানে বাঁধা দেয় বিজিবি। এছাড়া উক্ত ভূমির মালিকানা কাগজপত্র নিয়ে দুপক্ষকেই বিজিবির কাছে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ৪৩ বিজিবির (রামগড় জোন) অধিনায়ক লে: কর্ণেল আনোয়ারুল মাযহার বলেন, চা বাগানটির মালিক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিত্বে মন্দিরের কাজটি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। দু’পক্ষের কাগজপত্র যাচাই বাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।