খাবারে বরাদ্দ না থাকায় অচল রাঙামাটির দুই ছাত্রাবাস
![]()
নিউজ ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য বরাদ্দ না থাকায় এক দশকেও চালু করা হয়নি রাঙামাটির কাউখালী ও লংগদুর দুটি ছাত্রাবাস। পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে নষ্ট হচ্ছে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছাত্রাবাস দুটির অবকাঠামো। বিভিন্ন দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধা দিতে দ্রুত হোস্টেল চালু করার দাবি এলাকার মানুষের।
রাঙামাটির কাউখালীর ঘাগড়া ও লংগদুর আটারকছড়া এলাকায় ২০১২ সালে দুটি ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শেষ করে এলজিইডি। সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার পর সেখানে নিয়োগ দেয়া হয় জনবল। তবে গত দশ বছরেও এই দুই ছাত্রাবাস চালু হয়নি। অথচ নিয়মিত বেতন ভাতা পাচ্ছেন হোস্টেলে নিয়োগ পাওয়া চারজন।
এলাকাবাসিরা জানিয়েছে পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকায় নষ্ট হচ্ছে ছাত্রাবাসের দরজা, জানালা, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। আবাসনের সুবিধা না থাকায় পড়াশুনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দুর্গম এলাকার অনেক শিক্ষার্থী।
আটাকরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যান মিত্র চাকমা এ প্রসঙ্গে বলেছেন হোস্টেল না থাকায় দুর্গম এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের নিরবিচ্ছিন্ন পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে।
আবার ছেলাছড়া আবাসিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চি সাথোয়াই রোয়াজা দাবি জানিয়েছেন ছাত্রাবাসের নষ্ট লাইট, ফ্যান, বেকারী সচল করার মাধ্যমে ছাত্রাবাস দুটি আবার চালু করার।
হোস্টেল চালু প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেছেন ভবন নির্মাণ হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য খাদ্য বরাদ্দ না রাখায় চালু করা যায়নি ছাত্রাবাস।
তবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী জানিয়েছেন ছাত্রাবাস দুটির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে শীঘ্রই হোস্টেল দুটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কাউখালী ও লংগদুর এ হোস্টেল দুটিতে মোট ১৬০ জন শিক্ষার্থীর আবাসনের সুবিধা রয়েছে।