রাঙামাটিতে অ্যাডভোকেট শক্তিমান হত্যা মামলায় নবনির্বাচিত চার ইউপি চেয়ারম্যান আটক - Southeast Asia Journal

রাঙামাটিতে অ্যাডভোকেট শক্তিমান হত্যা মামলায় নবনির্বাচিত চার ইউপি চেয়ারম্যান আটক

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

২০১৮ সালের ৩রা মে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমাকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গুলি করে হত্যা এবং ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা (বর্মা) হত্যার ঘটনায় উক্ত হত্যা মামলার চার আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত চারজনই রাঙামাটির বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান।

ছবি-১: শপথ গ্রহণের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গ্রেফতারকৃত নবনির্বাচিত ৪ ইউপি চেয়ারম্যান।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ শেষে বের হওয়ার পর মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কানন চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা ও সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুপম চাকমা। তারা ‌চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত হন।

রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্‌ছের হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার চার ইউপি চেয়ারম্যানই নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আসামি। আটকের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ছবি-২: আটকের পর আদালতে নেয়া হচ্ছে আটককৃত ৪ ইউপি চেয়ারম্যানকে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠানে ১০ জন শপথ গ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে চারজন ছিলেন হত্যা মামলার আসামি।’

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩রা মে রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয় । এ সময় তার সহকারী রুপম চাকমা (৩৫) আহত হয় । পর দিন ৪ঠা মে রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের হামলায় ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমাসহ পাঁচজন নিহত হয়। আহত হয় আরো ১০ জন। নিহতরা হচ্ছেন, ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি তপন জ্যোতি চাকমা, সুজন চাকমা, টনক চাকমা, সেতু চাকমা ও মাইক্রোবাস চালক মো. সজিব।

ছবি-৩: অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ও তপন জ্যোতি চাকমা (বর্মা)।

এ হত্যাকাণ্ডের জন্য পাহাড়ি সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেন তার সমর্থকরা। তবে ইউপিডিএফ অভিযোগ অস্বীকার করে। এ ঘটনায় নানিয়ারচর থানায় একই বছরের ৮ মে দুটি পৃথক মামলা হয়। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

অন্যদিকে ২০১৮ সালের ১১ এপ্রিল নানিয়ারচর উপজেলায় কালুময় চাকমাকে হত্যা করার দায়ে ইউপিডিএফ মূল দলের প্রধান প্রসীত বিকাশ খীসাসহ ২৭ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২৭ জন আসামীর মধ্যে নবনির্বাচিত কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কানন চাকমার নাম রয়েছে। তিনি ইউপিডিএফ দলের অন্যতম সংগঠক বলে জানা গেছে।