ইউক্রেনে ৩০টি জৈব অস্ত্রের গবেষণাগার স্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি- রাশিয়া
নিউজ ডেস্ক
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেছেন, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর আগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানিও দেশটিতে জৈবিক সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে এবং সম্ভবত তা এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।
রুশ বার্তা সংস্থা আরটি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে অভিযানকালে রুশ সামরিক বাহিনী এমন সব নথি পেয়েছে, যেগুলো থেকে জানা গেছে যে, দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে জৈব অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে আসছিল পশ্চিমারা।’
‘অভিযানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে রুশ বাহিনী এ সম্পর্কিত আরও গুরুত্বপূর্ণ নথি হাতে পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে’ উল্লেখ করে মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি যৌথভাবে জৈব অস্ত্র নিয়ে গবেষণার জন্য ইউক্রেনে কমপক্ষে ৩০টি জৈব গবেষণাগারের নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে। রুশ সশস্ত্র বাহিনীর নিশ্চিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অন্যান্য কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে বিপজ্জনক ও নিষিদ্ধ গবেষণা পরিচালিত হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১৩ সাল থেকে জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিসের পৃষ্ঠপোষকতায় জার্মান সরকার জার্মান বায়োসিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিবিপি) বাস্তবায়ন করছে, পশ্চিমা বেশ কিছু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি অংশীজনদের সঙ্গে ২০১৪ সালে এ প্রকল্পে যোগ দেয় ইউক্রেন।’
‘দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে জৈব রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে রাশিয়া, অন্য যেকোনো ইউরোপীয় দেশের তুলনায় এ অভিযোগটিকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টায় সবচেয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে জার্মানি। তবে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এ ধরনের কোনো কিছু হলে তার দায় জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের পশ্চিমা মিত্রদেরই ওপরই বর্তাবে’, যোগ করেন তিনি।
জাখারোভা আরও বলেন, ‘আমরা জার্মান কর্মকর্তাদের অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের দেশের উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যাচার বন্ধের আহ্বান জানাই।’