দক্ষিণ ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় মস্কো: রুশ জেনারেল

নিউজ ডেস্ক
মস্কো দনবাস ও দক্ষিণ ইউক্রেনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের ডেপুটি কমান্ডার জেনারেল রুসতম মিনেকায়েভ। শুক্রবার তিনি এ কথা বলেন বলে রুশ সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ডেপুটি কমান্ডার রুসতম মিনেকায়েভের বিবৃতিটি এই ইঙ্গিত দেয় যে, ইউক্রেনে শিগগির আক্রমণ বন্ধের পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার।
মিনেকায়েভ কোনো জায়গার নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু, রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের দুটি প্রধান শহর, ওডেসা এবং মাইকোলাইভ ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে আছে।
রুশ সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এবং তাস রুসতম মিনেকায়েভকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, দক্ষিণ ইউক্রেনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ মলদোভার রুশপন্থী বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়াতে রাশিয়ার প্রবেশকে সহজ করবে। এটি ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এলাকা এবং কিয়েভ আশঙ্কা করছে, নতুন আক্রমণের জন্য এই অঞ্চলকে ব্যবহার করা হতে পারে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে কিয়েভ বলেছিল, এই অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটি উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যা ইউক্রেনগামী সেনাদের জন্য ব্যবহার করবে মস্কো। তবে, মলদোভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ট্রান্সনিস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
মিনেকায়েভকে উদ্ধৃত করে তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের দক্ষিণে নিয়ন্ত্রণের আরেকটি কারণ ট্রান্সনিস্ট্রিয়া। কারণ সেখানে রুশভাষী মানুষের নিপীড়িত হওয়ার প্রমাণ আছে।
তবে, মিনেকায়েভের সেই কথিত নিপীড়নের কোনো প্রমাণ বা বিশদ বিবরণী জানানো হয়নি।
মিনেকায়েভের বরাত দিয়ে রাশিয়ার আরআইএ নিউজ এজেন্সি বলছে, রাশিয়ান সামরিক বিপর্যয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো ব্যাপকভাবে রিপোর্ট করেছিল। সংবাদমাধ্যম আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর কিছু ব্যর্থতা নিয়ে অনেক কথা বলছে। কিন্তু, সত্যিকার অর্থে তা নয়। প্রথম দিকে… ইউক্রেনীয় সেনাদের কৌশলগুলো চিহ্নিত করে রুশ সেনাদের পৃথক দলে ভাগ করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু, তাদের ইউক্রেনের সেনাদের পূর্ব-প্রস্তুতি নেওয়া অতর্কিত হামলায় পড়ে রুশ সেনারা এবং ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
তিনি বলেন, তবে রুশ সশস্ত্র বাহিনী খুব দ্রুত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে এবং কৌশল পরিবর্তন করেছে।
আরআইএ-এর মতে, তিনি আরও বলেন- ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিদিনের ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য হামলার অর্থ হলো রাশিয়া সেনা না হারিয়ে বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।