রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ডলারের, মুল্যস্ফীতির আশঙ্কা - Southeast Asia Journal

রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি ডলারের, মুল্যস্ফীতির আশঙ্কা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে ডলারের দাম। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে খোলাবাজারে। তারপরও চাহিদা মতো মিলছে না নগদ ডলার। কারণ হিসেবে আমদানি বৃদ্ধি ও বকেয়া এলসির দায়কে দুষছেন ব্যাংকাররা। আর অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এর ফলে মূল্যস্ফীতি বাড়লে নতুন সংকটে পড়বে বাংলাদেশ।

বেশকিছুদিন ধরেই ডলারের বাজারে এমন অস্থিরতা চলছে। দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত কয়েকদিনে সেই অস্থিরতা আরও বেড়েছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) সব রেকর্ড ভেঙে লেনদেন হয় সর্বোচ্চ ১০২ টাকায়। একদিন আগেও যা বিনিময় হয় ৯৬ থেকে ৯৭ টাকায়। মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিনে দামের এতোটা ওঠানামা নজিরবিহীন।

ব্যাংক রেটের সাথে খোলা বাজারে ডলারের দামের পাথর্ক্য ১৪ টাকার ওপরে। সবশেষ বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের বিনিময় মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে। সংকট সামাল দিতে এর আগে আরও ৪ বার ডলারের বিনিময় মূল্য বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকাররা বলছেন, নতুন আমদানি বৃদ্ধি এবং আগের আমদানির দায় পরিশোধ করতে হচ্ছে। যে কারণে চাপ বেড়েছে ডলারের ওপর।

সোনালী ব্যাংকের প্রধান ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, পেমেন্টের এখন বড় একটি চাপ এসেছে, সেই তুলনায় অর্থের সরবরাহ আসছে না। এ কারণেই বর্তমানে ডলারের সংকট বা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে কারণ যাইহোক, ডলারের দামের অস্থিরতায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে অর্থনীতি। বাড়বে মূল্যস্ফীতি। যা আরো চাপে ফেলবে সাধারণ মানুষকে। সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে এমনিকেই চাপে আছি আমরা। এরমধ্যে ডলারের দাম বৃদ্ধি মুল্যস্ফীতি তৈরি করে নতুন একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, সংকট সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রির পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। সাথে বিলাসবহুল পণ্য আমানিতেও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সরবরাহ কিছুটা বাড়লে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলেও মনে করেন নির্বাহী পরিচালক। রফতানি বৃদ্ধি এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।