বিলাইছড়িতে কেএনএফ কর্তৃক ৩ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে এনে খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন
 
                 
নিউজ ডেস্ক
গত ২১ জুন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৩ ত্রিপুরা গ্রামবাসী নিহত ও ২ শিশু আহতের ঘটনায় পাহাড়ের নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)কে দায়ী করে এ ঘটনার প্রতিবাদে আরেক পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এবং ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ (টিএসএফ)। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এ ঘটনার বিচার, ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ৬দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়েছে।
সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ (বিটিকেএস) এবং ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ (টিএসএফ)।

টিএসএফ এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অঞ্জু লাল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বিটিকেএস এর সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন টিএসএফ এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি খঞ্জন জ্যোতি ত্রিপুরা।
এসময় সংহতি বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল আজম। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন টিএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নক্ষত্র ত্রিপুরা, বিটিকেএস খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক শাখা’র সাধারণ সম্পাদক মিহির কান্তি ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক উল্লাস কান্তি ত্রিপুরা, ধর্ম, সমাজকল্যাণ, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক তপন বিকাশ ত্রিপুরা, সাংগঠনিক সম্পাদক তাপস কুমার ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি হিরন জয় ত্রিপুরা, বিবিসুৎ ত্রিপুরা, টিএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নয়ন ত্রিপুরাসহ অন্যান্যরা।
মানববন্ধন শেষে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিটিকেএস ও টিএসএফ এর যৌথ উদ্যোগে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় এনে সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে সঠিক ন্যায় বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলোকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, আহত ২ শিশুর সুচিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদান করা, নিহত ও আহত পরিবার এবং হামলায় আক্রান্ত গ্রামবাসীদের জানমালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র দলের সশস্ত্র কার্যক্রম বন্ধ করা ও ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেনো পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ ৬ দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
