উলফা নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও সহযোগীর ১০ বছর কারাদণ্ড - Southeast Asia Journal

উলফা নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও সহযোগীর ১০ বছর কারাদণ্ড

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. কামাল হোসেন আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রঞ্জন চৌধুরী (৬০) মেজর রঞ্জন নামেও পরিচিত। তার বাড়ি ভারতে। তার সহযোগী প্রদীপ মারাকের (৫৭) বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ ইমাম বলেন, ‌‘আসামের নিষিদ্ধ সংগঠন উলফার শীর্ষনেতা ছিলেন রঞ্জন। তিনি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসে গোপনে অবৈধভাবে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অবস্থান করছিলেন। ২০১০ সালের ১৭ জুলাই ভৈরবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে আবেদীন হাসপাতালের সামনে থেকে রঞ্জন ও প্রদীপকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এর আগে সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় রঞ্জন ও প্রদীপকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আজ অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় তাদের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ভৈরব থানা এলাকায় র‌্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে পিস্তল, হাতবোমা ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জামসহ রঞ্জন ও প্রদীপকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় র‌্যাবের উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে র‌্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের উপ-সহকারী পরিচালক মো. করিম উল্লাহ ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

রঞ্জন চৌধুরী ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবড়া জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামের মৃত মধুসূদন রায়ের ছেলে। ১৯৯৫ সালে নিজের দেশে এক বছর কারাভোগ শেষে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। উলফার সামরিক প্রধান পরেশ বড়ুয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী শেরপুরের ঝিনাইগাতীর গজনীতে বসত গড়ে ১৯৯৭ সাল থেকে উলফার কার্যক্রম শুরু করেন। রঞ্জনের সহযোগী প্রদীপ মারাক ঝিনাইগাতী উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের আরত সাংমার ছেলে। শেরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। পরে রঞ্জনের সহযোগী হিসেবে উলফার কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েন প্রদীপ।