‘সীমান্ত সড়কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত’ দাবি করে বাঘাইছড়ির ১৮৮ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
 
                 
নিউজ ডেস্ক
রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কারণে বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের ১৮৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের উগলছড়ি আর্য্যপুর গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত ১৮৮টি পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য রাশিকা চাকমা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘উপজেলার বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নে সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের কারণে স্থানীয় ১৮৮টি পাহাড়ি পরিবারের ঘর-বাড়ি, বাগ-বাগিচা, দোকানপাট ধ্বংস হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরিবারগুলোকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। আমরা জেলাপ্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেছি। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাইনি। তাই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের জন্য জোর দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই ইউনিয়নের মধ্যকার ১৯ কিলোমিটার সীমানা সংযোগ সড়ক নির্মাণ করার জন্য বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের ১৮৮টি পরিবার ফলজ, বনজ বাগানসহ কমবেশি ১১ একর ৫৪ শতক জমির ঘর-বাড়ি, দোকানপাট ও বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ সময় বাঘাইছড়ি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য নিরুপম চাকমা বলেন ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে জেলার লংগদু, কাউখালী, বরকল, নানিয়ারচর ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে এসব এলাকায় বসতি স্থাপন করে আসছে। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলা বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগানের উপর নির্ভর করে এলাকাবাসী জীবিকা নির্বাহ করছে। সীমান্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণে দুই ইউনিয়নের মধ্যকার ১৯ কিমি সড়কের পার্শ্ববর্তী ১৮৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু তাদের ক্ষতি পূরণ দেওয়ার বিষয়ে কোনো তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাঘাইছড়ি ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান প্রিয় বিকাশ চাকমা, সারোয়াতলী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান সুগত চাকমা, সারোয়াতলী ইউপির সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সুমায়া চাকমা, বাঘাইছড়ি ইউপির সাবেক সদস্য নিরুপম চাকমা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাঘাইছড়ি ও সারোয়াতলী ইউনিয়নের ৩০ ফুট প্রশস্ত এই সীমান্ত সড়কের দৈর্ঘ্য উগলছড়ি আর্য্যপুর থেকে কজইছড়িমুখ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে কজইছড়িমুখ থেকে মাঝিপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার। সড়কটি সাজেক পর্যন্ত সম্প্রসারিত হবে।
