বান্দরবানে কেএনএফের প্রধানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা - Southeast Asia Journal

বান্দরবানে কেএনএফের প্রধানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

বান্দরবানে জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার আমির ও কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধানসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে এ মামলা করেন।

নুরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি তাঁর ছেলে আমিনুল ইসলাম, ওরফে আল আমিনকে (২৩) হত্যার পর লাশ গুম করার অভিযোগে হত্যা মামলার আবেদন করেন। আদালতের বিচারক মো. নাজমুল হোসেন আবেদনটি এজাহার হিসেবে নিয়ে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আবেদনে জঙ্গি সংগঠন শারক্কীয়ার আমির আনিসুর রহমানকে প্রধান আসামি এবং প্রধান উপদেষ্টা শামীম মাফুজকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া কেএনএফের প্রধান নাথান লনচেও ওরফে নাথান বম, সামরিক শাখার ভাঙচুর লিয়ান, লাল মোহন রিয়াল ওরফে কর্নেল সলোমন, লালদন সাং বমসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ১১ জানুয়ারি র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার পাঁচ জঙ্গিও আছেন।

লিখিত অভিযোগে নুরুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আসামিরা তাঁর ছেলে আমিনুলকে ধর্মীয় মিথ্যা প্রলোভনে ফুসলিয়ে কুমিল্লা থেকে বান্দরবানে কেএনএফের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নিয়ে যান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্নভাবে জানতে পারেন, তাঁর ছেলের মতো আরও অনেককে প্ররোচনা দিয়ে জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়ায় সম্পৃক্ত করা হয়। বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে কেএনএফের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নিয়ে যান তাঁদের। র‍্যাবের হাতে ১১ জানুয়ারি গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, তাঁর ছেলে আমিনুল ভুল বুঝতে পেরে শারক্কীয়ায় থাকতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং বাড়ি ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ জন্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২৪ থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে দুর্গম লুমউয়ালপাড়া (লুয়াংমুয়ালপাড়া) এলাকায় তাঁর ছেলেকে হত্যা করে অজ্ঞাতস্থানে লাশ গুম করেন।

বাদী নুরুল ইসলাম বলেন, শারক্কীয়া ও কেএনএফের প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে থাকতে না চাওয়ায় তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। কোমলমতি তরুণদের যাতে অপব্যাখ্যাকারীরা ভুল পথে পরিচালিত করতে না পারেন, সে জন্য তিনি অভিযোগ করেছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী খলিলুর রহমান বলেন, বাদী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি অভিযোগ করেন। অভিযোগটি আমলি আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হোসেন এজাহার হিসেবে নিয়ে রুমা থানার ওসিকে তদন্ত করে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।