বিদ্রোহীদের হামলায় মিয়ানমারে সেনা-পুলিশের ৩৩ সদস্য নিহত - Southeast Asia Journal

বিদ্রোহীদের হামলায় মিয়ানমারে সেনা-পুলিশের ৩৩ সদস্য নিহত

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

 

নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে গত এক সপ্তাহে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৩৩ সদস্য। দেশটির চিন, সোম, শান এবং কাচিন রাজ্য এবং ম্যাগওয়ে, মান্দালে এবং সাগাইং অঞ্চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতি নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বৃহস্পতিবার চিন রাজ্যের থান্টলাং টাউনশিপে পুলিশ স্টেশনে হামলায় চার সেনা সদস্য নিহত হন। এই পুলিশ স্টেশনে সেনা ও পুলিশের চল্লিশ জন সদস্য অবস্থান করছিলেন।

কয়েক ঘণ্টার লড়াইয়ের পর বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় জাতিগত চিন প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো থানা দখল করতে সক্ষম হয়। প্রতিরোধ যোদ্ধারা ড্রোন বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ বিভিন্ন অস্ত্র জব্দ করেছে।

এদিকে জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে থানা দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ইরাবতি নিউজ জানায়, সেনাবাহিনী আগে কখনো এমন বিষয় স্বীকার করেনি। তবে এবারের হামলা ও থানা দখলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

অন্যদিকে নাগারনি গেরিলা ফোর্স ল্যান্ডমাইন ব্যবহার করে ১২ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইরাবতি জানায়, মান্দালয় অঞ্চলের মাইংইয়ান টাউনশিপে পুলিশ বহনকারী গাড়িতে অতর্কিত হামলার এ ঘটনা ঘটে।

অতর্কিত হামলায় গাড়িটি ধ্বংস হয় এবং এতে থাকা পুলিশ সদস্যরা প্রাণ হারান। এছাড়া শুক্রবার সাগাইং অঞ্চলের সাগাইং টাউনশিপে পিডিএফ বাহিনীর অতর্কিত হামলায় জান্তা বাহিনীর ছয় সদস্য প্রাণ হারান।

এছাড়া দেশটির সোম, শান এবং কাচিন রাজ্য এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলেও সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহতের তথ্য জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।

মিয়ানমারে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে সহিংস দমননীতি গ্রহণ করে জান্তা সরকার। এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন কয়েক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী। সহিংসতার জেরে কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী একত্রিত হয়ে গঠন করে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। এরপর থেকেই জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে তারা।