সমঝোতা নয়, বিরোধীদের আত্মসমর্পণ চায় সুদানের সেনাবাহিনী
 
                 
নিউজ ডেস্ক
প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার সুদানি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা শুধু আত্মসমর্পণ মেনে নেবে। রাজধানী খার্তুম ও দেশটির বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী লড়াই করছে। এর ফলে সাময়িক অস্ত্রবিরতি হুমকির মুখে পড়তে পারে। মার্কিন বার্তঅ সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
প্রায় এক সপ্তাহে গড়ানো সুদানের চলমান সংঘাত আরও তীব্র হতে পারে সেনাবাহিনীর এই অবস্থান প্রকাশের পর। এই সংঘাত দেশটির জনগণকে ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। ধসে পড়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। অনেক হাসপাতাল সেবাদান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। বেশ কয়েকটিতে নেই পর্যাপ্ত সরবরাহ।
বুধবার সন্ধ্যায় ২৪ ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে রাজধানী খার্তুমে এতে করে পরিস্থিতি খুব একটা শান্ত হয়নি। তবে অনেক বাসিন্দা এই সুযোগে শহরে আটকে পড়া অবস্থা থেকে মুক্তি পেলে অন্যত্র চলে গেছেন।
অস্ত্রবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে তারা কোনও আপস করবে না। সংকট অবসানের ক্ষেত্রে শুধু আত্মসমর্পণের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সামরিক ব্যবস্থার বাইরে কোনও সশস্ত্র বাহিনী থাকবে না।
এই চুক্তিও যদি ব্যর্থ হয় তাহলে সুদানের শীর্ষ দুই জেনারেল–সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ বুরহান ও আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে বিরোধ নিরসনে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা বিফলে যাবে।
এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উভয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পর কয়েক ঘণ্টার অস্ত্রবিরতি শুরু হতে না হতেই ভেঙে পড়ে। বৃহস্পতিবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান দুই জেনারেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকেও বৃহস্পতিবার আলোচনা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, শনিবার সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর অন্তত ৩৩০ জন বেসামরিক নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। অনেক মরদেহ সড়কে পড়ে আছে।
