টেকনাফে অপহৃত কৃষককে মুক্তিপণে ১০ লাখ টাকা দাবি - Southeast Asia Journal

টেকনাফে অপহৃত কৃষককে মুক্তিপণে ১০ লাখ টাকা দাবি

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা থেকে অপহৃত আলী হোসেনের (৫৫) সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা।

গত ২১ মে রোববার সকালে লেদার পাহাড়ি এলাকায় গরু চড়াতে গেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা কৃষক আলী হোসেনকে অপহরণ করে টেকনাফের গহিন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়।

আলী হোসেনের বাড়ি লেদার মৌলভীপাড়ায়। আলীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, রোববার বিকেলে আলীকে ছেড়ে দেওয়ার বিপরীতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন। এরপর থেকে যোগাযোগ বন্ধ আছে। অপহরণের খবর পুলিশকে জানানো হলে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ কারণে ঘটনা পুলিশকেও জানাতে পারছেন না।

কৃষক আলী হোসেনকে অপহরণের কথা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল হুদা।

অপহৃত আলীর ছোট ভাই কামাল হোসেন বলেন, রোববার সকালে তাঁর বড় ভাই লেদার পুরোনো রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় গরু চড়াতে যান। সেখানে তাঁর কৃষিজমি রয়েছে। ওই জমিতে চাষাবাদ করার পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে গরু চড়াতে যান তিনি। রোববার সকালে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে তাঁকে জিম্মি করে গহিন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যান। আজ সোমবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত তাঁর খোঁজ নেই। তাতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।

কামাল হোসেন আরও বলেন, রোববার বেলা তিনটার দিকে মুঠোফোনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মুক্তিপণের ১০ লাখ টাকা জোগাড় করতে বলেন। এরপর অপহৃত আলীর সঙ্গে কথা বলতে দেন। ওই সময় আলী তাঁকে বলেন, তিনি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে অপহৃত হয়েছেন। অপহরণের খবর পুলিশ, র‌্যাবসহ কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানো হলে সন্ত্রাসীরা তাঁকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছে। এ কারণে অপহরণের খবর তাঁরা পুলিশকে জানাননি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম বলেন, হ্নীলা থেকে কৃষক অপহরণের ঘটনা তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগও করেননি। তারপরও তিনি ঘটনার অনুসন্ধান করছেন।