দুর্গম পাহাড়ে অসাধ্যকে সাধন করছে সেনাবাহিনী - Southeast Asia Journal

দুর্গম পাহাড়ে অসাধ্যকে সাধন করছে সেনাবাহিনী

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

এক হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়ক; তাও আবার দেশের পার্বত্য তিন জেলার সীমান্ত পাহাড়ে। সমতলে যত সহজে শ্রমিক এবং নির্মাণসামগ্রী পাওয়া যায়; পাহাড়ে তত সহজ নয়। সব মিলিয়ে বলা যায়, এক অসাধ্য সাধন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

দুর্গম পাহাড়ে সড়ক নির্মাণ; নাম ‘সীমান্ত সড়ক’। সমতলে একটি ইটের দাম ৯ টাকা, পাহাড়ি পথ বেয়ে সেটিকে সীমান্তের কাছাকাছি আনতে খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৩ থেকে ৪ গুণ। একইভাবে সড়ক তৈরির সব উপকরণ তো বটেই, নির্মাণশ্রমিক পেতেও বেগ পেতে হয় দুর্গম সে পাহাড়ে।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার শেষ প্রান্তে দুর্গম পাহাড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে সীমান্ত সড়কটি। যার ব্যাপ্তি রামগড় থেকে টেকনাফ। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে এ সড়ক লাগোয়া বেশকিছু সংযোগ সড়কও। ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সড়কটি নির্মিত হচ্ছে তিনটি ধাপে। প্রথম পর্যায়ে ৩১৭ কিলোমিটারের মধ্যে এরই মধ্যে দৃশ্যমান ১৭৩ কিলোমিটার। আগামী বছরের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে এর পুরোটি।

সীমান্ত সড়কটি ধরে সময় সংবাদের ক্যামেরা যখন এগিয়ে চলে, তখন হঠাৎ নজরে আসে গহিন পাহাড়ে সেনাসদস্যদের কর্মযজ্ঞ। গাড়ি থেকে নেমে সামনে যেতেই দেখা গেল, নকশা ধরে এগিয়ে যায় সড়ক তৈরির প্রথম ধাপের কাজ। এটির পোশাকি নাম ‘পাইলট কাট’।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মুস্তাফা নাহিয়ান রশীদ বলেন, ‘সড়ক নির্মাণের সামগ্রীগুলো পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে, এর দামও বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে এখানে যেসব নির্মাণশ্রমিক রয়েছেন, দুর্গম পাহাড় হওয়ায় তাদের পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে।’

এরপরও ধীরে ধীরে রূপ দেয়া হচ্ছে সড়কটির। কর্মকর্তাদের আশা, ২০২৮ সালের মধ্যে বাকি ৭১৯ কিলোমিটার সড়ক যান চলাচলের উপযোগী হবে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সীমান্ত সড়ক প্রকল্পের পরিচালক কর্নেল ভূঞা মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সড়কটির বাকি যে কাজ রয়েছে, ২০২৮ সালে শেষ হবে বলে আমি মনে করি। ২০১৮ সালে কাজটি শুরু হয়েছে। আমাদের দ্বিতীয় পর্যায়ে পিপি প্রস্তুত হচ্ছে; এটির অনুমোদন হয়ে গেলে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হতেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করতে পারব।’

গহিন অরণ্যে জীবজন্তু আর সাপের ভয় ছাড়াও আছে পদে পদে বিপদ; সুপেয় পানির সংকট, ভূমিধসের ঝুঁকি। নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় একমাত্র ইন্টারনেট। সেটি পাওয়া যায় কেবল কাজ শেষে সেনা ক্যাম্পে ফেরার পর। অসুস্থ হলে দ্রুত শহরে নেয়ারও উপায় নেই। এসব ঝুঁকি আর বিপদ মোকাবিলা করেই দেশের জন্য কাজ করছেন নির্ভীক সৈনিকরা।

You may have missed