ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২ - Southeast Asia Journal

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২

“এখান থেকে শেয়ার করতে পারেন”

Loading

নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সায়েদুল ইসলামকে (৩০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে সকালে তাদের ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮০ নম্বর ক্লাস্টারের মো: জাফরের ছেলে ইছাক (৩০) ও ৭৮ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর রহমানের ছেলে নুর হোসেন (২৪)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুলাই গভীর রাতে পূর্ব শত্রুতার জেরে জায়েদুলকে বেধড়ক পিটিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ৫৫ নম্বর ক্লাস্টারের ১৬ নম্বর কক্ষের বারান্দার সিঁড়ির কাছে রেখে যায়। সেখানে মাথায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তিনি। পুলিশ শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ভাসানচর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোর রাতের দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সিরাজুল ইসলাম চারজনের নাম উল্লেখ করে ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে রোহিঙ্গা ইছাক (৩০) ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামি নুর হোসেনকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, নিহত সায়েদুল ইসলাম তার লোকজন নিয়ে মামলার এজাহার নামীয় আসামি ইব্রাহিমকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে এবং একপর্যায়ে ইব্রাহিমকে ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে সায়েদুল ইসলামের প্রতি তাদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে রোহিঙ্গা ইছাক, নুর হোসেন ওরফে কালা ডাক্তার (২৪), মো: আনাস ওরফে আনিস (২৫), নুরুল আমিন (৪০), জলিল (৩৫) এবং বারা ওরফে বুড়া সায়েদুল ইসলামকে ক্লাস্টার নম্বর ৫৫-এর সামনে পাকা রাস্তার ওপর কুপিয়ে পায়ে রশি বেঁধে ফেলে পালিয়ে যায় বলে আসামিরা স্বীকার করে।

You may have missed